১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার সকালে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের বাণী পাঠ করে উপস্থিত সকলকে শুনানো হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনায় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘১৭ এপ্রিল তথা মুজিবনগর দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অনন্য দিন, দেশের আইনগত সূচনা হয় এই মুজিবনগর বা তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহাকুমার বৈদ্যনাথতলা থেকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশি সাংবাদিক ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে সরকার গঠন বাংলার মুক্তিকামী জনগণকে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে অনুপ্রাণিত করে।
ভৌগলিক ও কৌশলগত কারণে মুজিবনগর ছিল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর মুজিবনগর সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে নিজের পরিচয় জানান দেয়। তাই দিবসটির গুরত্ব অপরিসীম।’
Advertisement
আলোচকগণ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ‘সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অস্ত্রভয় উপেক্ষা করে আমাদের বীর জাতীয় নেতাগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন এবং সৈয়দ নজ্রুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান ও এম মুনসুর আলীকে মন্ত্রীসভার সদস্য করে শপথ গ্রহণ ও স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী সরকার গঠন করেন।
মূলত এখান থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের পথ চলা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা মুজিবনগর তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এসআর/পিআর
Advertisement