অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় এক ধরণের ‘মাংস-খেকো’ ঘা মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। এই ঘায়ের নাম হচ্ছে ‘বুরুলি আলসার’। এটা এক ধরণের চর্মরোগ যা এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া থেকে ছড়ায় এবং এর টক্সিন মানবদেহের ত্বক, রক্তবাহী নালী এবং মাংসপেশী ধ্বংস করে ফেলতে পারে।
Advertisement
এটা সচরাচর আফ্রিকায় হতে দেখা যায়। কিন্তু এটা এখন অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রতি বছর ৪০০ শতাংশ হারে এর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।
শুধু তাই নয়, এর সংক্রমণও হচ্ছে অনেক বেশি গুরুতর আকারে এবং নতুন নতুন এলাকায় এটা ছড়িয়ে পড়ছে। গত এক বছরে ২৭৫ জন নতুন করে এই ঘায়ে আক্রান্ত হয়েছেন।
এটা বড় হতে হতে প্রত্যঙ্গের বিকৃতি বা প্রতিবন্ধিতা সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণত হাতে বা পায়ে এই ঘা হয়। কিন্তু মুখে বা দেহের অন্য অংশেও হতে পারে।
Advertisement
তবে কীভাবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার এই চর্মরোগ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় এলো তা স্পষ্ট নয়। আর কীভাবে এ রোগ ছড়ায় এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়- তা ডাক্তারদেরও এখনো অজানা। ফলে বিষয়টি নিয়ে গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির চিকিৎসকরা।
অস্ট্রেলিয়ার মেডিকেল জার্নালে এক নিবন্ধ লিখেছেন ড. ও'ব্রায়েন। তিনি বলছেন, ‘এই রোগ কীভাবে ছড়ায় তা এখনো এক রহস্য হয়ে আছে। নানা রকম তত্ত্ব আছে এ নিয়ে - যার মধ্যে মশা, বা পোসুম নামে এক ধরণের পাখির বিষ্ঠার কথা বলা হয় এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে। তবে আমাদের এ নিয়ে গবেষণার সময় নেই - কারণ এটা এখন আতংকজনক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে।’
কয়েক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে এ রোগের সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকা, নিউ গিনি, ল্যাটিন আমেরিকা, এবং এশিয়ার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় এ রোগ বেশি দেখা যায়।
এমবিআর/পিআর
Advertisement