প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে তার দুদিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার বিকেলে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী সৌদি সরকারের একটি বিশেষ বিমান স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে বাদশাহ আব্দুল আজিজ বিমান ঘাঁটি ত্যাগ করে।
Advertisement
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। আজ রাতেই লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা রোববার সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় আল জুবাইল প্রদেশে অনুষ্ঠিত ‘গাল্ফ শিল্ড-১’ নামের একটি যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দাম্মাম পৌঁছেন। তিনি সৌদি বাদশাহ ও দুটি পবিত্র মসজিদের খাদেম সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ছয়দিনের যুক্তরাজ্য সফরকালে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক (সিএইচওজিএম) এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ বছর সিএইচওজিএমের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অভিন্ন ভবিষ্যৎ অভিগামী।’
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ নারী ফোরামের ‘এডুকেট টু এম্পাওয়ার : মেকিং ইকুইটেবল অ্যান্ড কোয়ালিটি প্রাইমারি এডুকেশন অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এ রিয়েলিটি ফর গার্লস অ্যাক্রোস দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রী বিকেলে যুক্তরাজ্যের মর্যাদাশীল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বৈদেশিক উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (ওডিআই) আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তিনি ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি : নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
১৮ এপ্রিল শেখ হাসিনা এশীয় নেতাদের ‘ক্যান এশিয়া কিপ গ্রোইং?’ রাউন্ড টেবিলে অংশ নেবেন। ওইদিন বিকেলে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান ও পরে নৈশভোজে যোগ দেবেন।
১৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের (সিএইচওজিএম) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
Advertisement
শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসির দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি সরকার প্রধান ও তাদের স্বামী/স্ত্রীদের সম্মানে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেয়া সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করবেন।
২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তিনটি ‘রিট্রিট সেশন’ ও শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেবেন। ২১ এপ্রিল তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সরকার প্রধানদের জন্য সংবর্ধনা এবং রাণীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এছাড়া শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ২৩ এপ্রিল দেশে ফিরবেন।
বিএ