হতে পারতো আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস, জিততে পারতো মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। মাত্র চার রানের জন্য হয়নি সেটি, অল্পের জন্য বীরোচিত ইনিংসের খেতাব পায়নি ধোনির ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংসটি। তবু এতে সামান্যও কমবে না ধোনির ইনিংসের কৃতিত্ব।
Advertisement
রবিবার পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ৪৪ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ধোনি। ইনিংসের মাঝপথেই টের পান নিজের পিঠের ব্যথার। সেই ব্যথা নিয়েই খেলতে থাকেন তিনি। ম্যাচ জিততে শেষের দুই ওভারে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৩৬ রান, ১৯তম ওভারে দুই ছক্কার মারে ধোনি তুলেন ১৯ রান।
এরপর টের পান বাড়ছে ব্যথা, সাথে সাথে মাঠে আসে টিমের ফিজিও। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আবারও ব্যাট হাতে নেমে যান চেন্নাই অধিনায়ক। ইনিংসে শেষ ওভারের শেষ বলে আবারও ছক্কা মারলেও চার রানের জন্য জয়বঞ্চিত হয় তার দল। ফলে বৃথাই যায় ধোনির ৬ চার এবং ৫ ছক্কার সাজানো অপরাজিত ৭৯ রানের ইনিংসটি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ধোনি কথা বলেন, নিজের পিঠের ব্যথা নিয়ে। জানান দলকে জেতাতে কিংবা বিশাল সব ছক্কা মারতে তার পিঠের কোনো প্রয়োজন নেই। হাতের জোরেই বিধ্বংসী সব ইনিংস খেলেন তিনি। ব্যথা নিয়েও বড় বড় ছক্কা হাঁকানোর ব্যাখ্যায় ধোনি বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাকে যথেষ্ট শক্তি দিয়েছেন। সে কারণে আমার পিঠের ব্যবহার করতে হয় না। আমার হাতে সঞ্চিত শক্তি দিয়েই আমি ছক্কা মারতে পারি।’
Advertisement
ধোনির ইনজুরি মানেই চেন্নাইয়ের শক্তি অর্ধেক কমে যাওয়া। কেননা তার বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বের উপরেই অনেকাংশে নির্ভর করে চেন্নাইয়ের সাফল্য ব্যর্থতা। নিজের ইনজুরির গভীরতা জানাতে গিয়ে ধোনি বলেন, ‘ব্যথাটা খুব গভীর, তবে ঠিক কতটা গভীর তা এখনই বলা সম্ভব না। আমরা এটা নিয়ে সামনে আরও পরীক্ষা করবো। তবে একটি ভালো ব্যাপার হচ্ছে. আমি জানি ইনজুরিটা কিভাবে হলো। ইনজুরির কারণ জানা থাকলে সেরে ওঠা সহজ হয়ে যায়।’
এসএএস/এমএমআর/এমএস