সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা আন্দোলনের সময় ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রচার, মৃত্যু ও রগ কাটার গুজব ছড়ানো এবং উসকানিমূলক তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে (আইসিটি) মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
Advertisement
গত বুধবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম।
ওসি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে বুধবার আইসিটি আইনে একটি মামলা হয়। ডিএমপির সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম শাহজালাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে কারও নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় কোটা আন্দোলন নিয়ে গুজব ছড়ানো বিভিন্ন ফেসবুক আইডির নাম ও পোস্ট সংযুক্ত করা হয়েছে।
Advertisement
ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাবির ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিকের অজ্ঞান অবস্থার ছবি তুলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়। মৃত্যুর গুজব সবচেয়ে বেশি ছড়ানো হয় ইমরান এইচ সরকারের ভেরিফায়েড পেজ থেকে। পেজটিতে সাড়ে ১৪ লাখের বেশি লাইকার রয়েছেন।
এরপর ইমরানের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আরও ২০-২৫টি অ্যাকাউন্ট ও পেজও শনাক্ত করা হয়, যেগুলো থেকে ফেসবুকে মৃত্যুর গুজব ছড়ানো ও আন্দোলনে উসকানি দেয়া হয়েছিল। পরে ওই শিক্ষার্থীই জানান, তিনি বেঁচে আছেন।
এসব বিষয়ে জানতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত্যুর গুজব ও উসকানিমূলক পোস্ট দেয়া ২০-২৫টি অ্যাকাউন্ট সাসপেক্ট করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম দিনেই পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যুর কথা জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ইমরান এইচ সরকার। ওই খবরটি সত্য ছিল না। পরে অবশ্য আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- ‘একটা ভালো খবর হলো, একজন মারা যাবার যে গুজবটা ছড়িয়ে পড়েছিল এখনো সেটার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে অনেকের অবস্থা বেশ খারাপ। সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেনো সবাইকে বাঁচিয়ে রাখেন।’
আগের পোস্টটি ডিলিট করা হয়েছে বলেও ওই স্ট্যাটাসের একটি কমেন্টে জানান ইমরান। জেইউ/জেডএ/এমবিআর
Advertisement