পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের নববর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাই শুরু হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার সকালে উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় রাজার মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটি মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব হলেও প্রত্যেক জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে । যা মহামিলনে পরিণত হয়েছে।
শোভাযাত্রায় মারমা-চাকমা-ত্রিপুরা-মুরংসহ ১১টি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সের হাজারো নারী-পুরুষ অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় তরুণ-তরুণীরা হাতে মোরগ, মুখোশ, বাঁশি, ঘুড়ি, হাতি প্ল্যাকার্ডসহ আদিবাসীদের বিভিন্ন ঐতিহ্য ধারণ করে উল্লাসে মেতে ওঠে।
Advertisement
শোভাযাত্রা অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার আদিবাসী নেতারা।
শোভাযাত্রা শেষে ইহকাল ও পরকালে সুখ-শান্তি লাভের জন্য বয়স্কদের উদ্দেশ্যে বয়স্ক পূজা করা হয়।
উল্লেখ্য, মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন বৈসাবিকে সাংগ্রাই উৎসব হিসেবে পালন করে থাকেন। পুরনো বছরের শেষ দিন এবং নতুন বছরের প্রথমদিনই সাংগ্রাই উৎসবের দিন হিসেবে তাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো বছরের শেষ তিনদিনের প্রথম দিন নারী-পুরুষ সবাই মিলে বৌদ্ধ মূর্তিগুলোকে নদীর ঘাটে নিয়ে পানি ও দুধ দিয়ে স্নান করান।
পরের দু’দিন মারমা জনপদে নেমে আসে আনন্দের বন্যা। ওই দুইদিন পাড়ায় পাড়ায় চলে পানি খেলা বা জল উৎসব। একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে নিজেদেরকে শুদ্ধ করে নেন মারমা জনগোষ্ঠী। এবারও পাড়ায় পাড়ায় ওই উৎসবের আয়োজন শুরু হয়েছে।
Advertisement
সৈকত দাশ/এনএফ/এমএস