জাতীয়

কোটা সংস্কার নিয়ে কাজ চলছে : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।

Advertisement

মঙ্গলবার জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। গত রোববার কোটা সংস্কারের দাবিতে তারা শাহবাগের সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের সরিয়ে দেয়।

গত রোববার রাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উপাচার্যের বাসভবন তছনছ, ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসেন। বৈঠকে কোটাব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পদক্ষেপ নেয়া হবে- এ আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত মানেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ। তারা মঙ্গলবারও আন্দোলন চালিয়ে যান।

Advertisement

এদিকে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে কোটা ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এটি সংস্কারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে কিনা- জানতে চাইলে ইসমাত আরা জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোটা সংস্কারের বিষয়ে কাজ চলছে। যখন বলার মতো কিছু হবে তখন আপনারা জানবেন।’

কোটা সংস্কারের পদক্ষেপের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারব না। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, এ মুহূর্তে শুধু এটুকুই বলতে পারি।’

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ এবং উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এ ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে এক শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী নিয়োগের বিধান রয়েছে।

কিছুদিন আগে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধা বা অন্যান্য কোটাগুলো যদি পূরণ করা সম্ভব না হয় তবে তা মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে।

Advertisement

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ৩৩তম বিসিএসে মেধা কোটায় ৭৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, ৩৫তম বিসিএসে ৬৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ৩৬তম বিসিএসে ৭০ দশমিক ৩৮ শতাংশ মেধা কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন।

কোটার কারণে মেধাবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, এটা সঠিক নয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।

অপরদিকে বর্তমান কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিকতা তুলে ধরে গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিধিশাখা থেকে একটি বিবৃতি তৈরি করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বিতরণও করা হয়েছে।

# জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধিশাখা থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত বিবৃতি

আরএমএম/এমএআর/এমএস