অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ফারমার্স ব্যাংক যত দুষ্টুই হোক না কেন এটাকে পতন হতে দেব না।
Advertisement
মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বাৎসরিক মুনাফার অংশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী সানাউল হক সরকারের প্রাপ্য ৫১ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩০৪ টাকার নগদ লভ্যাংশ অর্থমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ফারমার্স ব্যাংক নিয়ে জাতীয় সংসদে অনেক সংসদ সদস্য অ্যাডভান্স বক্তব্য রেখেছেন। অনেকেই বলেছেন এ সরকারের আমলে একটা ব্যর্থতা ব্যাংকের পতন। তবে এটা আমাদের সময়ে হতে দেব না। যত দুষ্টুই হোক ব্যাংক, সেটাকে আমরা ঠিক করতে চাই। এটাকে ঠিক করার পরামর্শ আইসিবি থেকেই এসেছিল। তারা এ ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা করেছে বলেও জানান তিনি।
মুহিত আরও বলেন, পুঁজিবাজারটা অনেক দিন থেকেই ফটকাবাজারের মত কাজ করেছে। আমাদের আগের সরকারের আমলেও পুঁজিবাজারে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এবার ক্ষমতায় আসার পরও শেয়ারবাজারে প্রচণ্ড সমস্যা দেখা দেয়। এরপর সেটাকে সংস্কারের উদ্যোগ নিই।
Advertisement
‘গত ৬ বছর বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে কোনোও পরিবর্তন আনা হয়নি। ছয়টি বছরই তারা শেয়ারবাজারকে সংস্কারের কাজে লিপ্ত থাকে। বর্তমান কমিশনের চেষ্টায় পুঁজিবাজার এখন ঠিক হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ার বাজারকে বর্তমানে এমন এক অবস্থানে নিয়ে এসেছে যেটাকে এখন আর ফটকাবাজার বলা যাবে না। বাজার উত্থান-পতন হয় এটা স্বাভাবিক। তবে এখন আর বড় ধরনের উত্থান-পতনের কোনো সুযোগ নেই।
‘তবে এখন নিয়ম-অনুযায়ী সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন আনা হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে সংশয় প্রকাশ করেছে তা তারা প্রতি বছরই করে। এ বছর আমার দৃষ্টিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী তিন মাস পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কমরুন নাহার আহমেদ, মানিক চন্দ্র দে, সালমা নাসরিন, যুগ্মসচিব মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমইউএইচ/এএইচ/আরআইপি