তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ বছরের মধ্যে সব ইউনিয়ন ও ছিটমহলে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান তৈরি করা। সরকার ফাইভ জি চালু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মঙ্গলবার ‘বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ ২০১৮’ এর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
Advertisement
তিনি বলেন, সব শ্রেণীর মানুষের চাকরির সুযোগ রয়েছে বিপিও সেক্টরে। আমরা এ সামিটে তা তুলে ধরার চেষ্টা করবো। বিপিও সেক্টরে দেশের যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ তরুণদের এনে চাকরির দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানি অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। এ যাত্রা এ সরকারের আমলে শুরু হয়েছে। আগে আমরা প্রযুক্তি পণ্য আমদানীকারক দেশ ছিলাম, বর্তমানে আমরা উৎপাদন ও রপ্তানি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ‘বিপিও সম্মেলন বাংলাদেশ ২০১৮’।
এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম খায়রুল আলম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এটা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
Advertisement
বিপিও সামিটের বিস্তারিত তুলে ধরে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ২০১৫ সালে বিপিও সেক্টর সম্পর্কে জনগণের তেমন কোনো ধারণা ছিল না। দুই বারের বিপিও সামিট আয়োজনের ফলে এখন সবাই এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। বিপিও খাতে উন্নয়নের জন্য এ সামিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দুই দিনের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
এবারের আয়োজনে ৪০ জন স্থানীয় স্পিকার, ২০ জন আন্তর্জাতিক স্পিকার অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে ১০টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এই সম্মেলেনের আয়োজন করছে।
Advertisement
এএ/পিআর