দেশজুড়ে

চালুর অপেক্ষায় খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র

নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, টাওয়ার, ট্রান্সফরমার ও অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন এবং সঞ্চালন লাইনে সংযোগ দেয়ার মতো গুরুত্বপুর্ণ সব কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে খাগড়াছড়ি ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপ-কেন্দ্র। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় পর মঙ্গলবার পরীক্ষামুলকভাবে চালু করার কথা থাকলেও কিছুটা পিছিয়ে আগামী শুক্রবার বা শনিবার চালু হচ্ছে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রটি। উপ-কেন্দ্রটি পরীক্ষামুলকভাবে চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ‘খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র।

Advertisement

খাগড়াছড়িবাসীর দীর্ঘদিরে স্বপ্ন বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রটি চালু হলে খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলাসহ রাঙ্গামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ির বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লো-ভোল্টেজ থেকে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর।

তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শানিবারের (৭ এপ্রিল) মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হবে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ঠাকুরছড়া এলাকায় প্রায় ছয় একর জমিতে ৩৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩২ কেভি গ্রিড নেটওয়ার্ক ডেভলেপমেন্ট প্রজেক্ট ইন ইস্টার্ন রিজিয়ন‘র অধীনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান খাগড়াছড়ি ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপ-কেন্দ্রটি নির্মাণ করে। চট্টগ্রাম জেলার চন্দ্রঘোনা থেকে রাঙ্গামাটির মানিকছড়ি হয়ে খাগড়াছড়ি সাব স্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ আনা হচ্ছে।

Advertisement

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার যে নির্বাচনী ইশতেহার ছিল খাগড়াছড়ি ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রটি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে এ জনপদে সে প্রতিশ্রতির বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। খাগড়াছড়ির বিদ্যুত উপ-কেন্দ্রটি এখানকার অধিবাসীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়িবাসীর বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবেলায় ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর খাগড়াছড়ির এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাগড়াছড়ি সদরের ঠাকুরছড়া এলাকায় ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপ-কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। আঞ্চলিক সংগঠনের চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে ২০১৫ সালের শেষ দিকে উপ-কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/আরএআর/জেআইএম

Advertisement