মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ক্ষুদ্র খামারিরা ধ্বংস হোক সরকার যেমন চায় না তবে মাছ-মাংস ও দুধ-ডিমের উৎপাদনব্যয়ের সাথে বিক্রয়মূল্যের সামঞ্জস্যতা রক্ষায় একটা নীতিমালা অত্যন্ত জরুরি। এ জন্য সরকার আগামী এপ্রিল মাসে মৎস্য ও প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনকারী, ফিড ও ওষধ প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ী এবং খামারিদের নিয়ে একটি নীতিমালা করার চিন্তা-ভাবনা করছে।
Advertisement
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর সময়কে আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে না পারলেও এখন আমরা সম্মিলিতভাবেই মাছ ও মাংসে যেমন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, তেমনই দেশ আজ উন্নয়নশীল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কিন্তু ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করা সরকারের পক্ষে এককভাবে সম্ভব নয়, যদি সরকারি-বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা এবং খামারিরা এগিয়ে না আসেন।
আজ (শনিবার) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে গবাদি পশু-পাখির ফিড ও ওষধ প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিলার ও খামারিদের 'এগ্রো সম্মেলন' উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ফিডের উচ্চমূল্য এবং কাঁচামালের আমদানি ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনতে অর্থ, কৃষিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সাথেও আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার প্রয়োজনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বিশেষ অতিথি ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শহিদুল আহসান, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. নাথুরাম সরকার, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক-সম্প্রসারণ ড. হিরেশ চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।
মৎস্যমন্ত্রী প্রাণিসম্পদখাতে অবদানের জন্য ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক প্রিমোহন দাস ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনকে বিশেষ সম্মাননা ছাড়াও সারা দেশের ১০ জন ফিডমিল ডিলার ও খামারিকে পুরস্কার প্রদান করেন।
এমইউ/বিএ/জেআইএম
Advertisement