পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন ও বিতরণ কাজে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও প্রশ্ন ফাঁসের জন্য আমাদের দোষারোপ করা হয়। এটি সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
Advertisement
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এইচএসসি পরীক্ষার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সভায় শিক্ষামন্ত্রী এমন অভিযোগ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটলেই সবাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে তীর ছোড়েন। যেন মন্ত্রী-সচিব এমন অনিয়ম করছেন। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে প্রশ্নপত্র আসে না বা তারা তা বিতরণও করে না।
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমাদের দেয়া নির্দেশনাগুলো মাঠ পর্যায়ে সবাই বাস্তবায়ন করে। তারপরও সব দোষ আমাদের কাঁধেই দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
নাহিদ বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের দায়ভার আমরা এড়িয়ে যাইনি। তবে কতটুকু ফাঁস হয়েছে বা কি ফাঁস হয়েছে তা না যাচাই করে সবাই ঢালাওভাবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলছেন। এতে করে জনমানুষের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি যুগে বর্তমান পদ্ধতিগত কারণে প্রশ্নপত্র শতভাগ নিরাপদে রাখা সম্ভব নয়। তবে প্রশ্ন ফাঁসকারীরা যতটি পদ্ধতি ব্যবহার করছে সেগুলো তালিকাবদ্ধ করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেসব মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করে আটক করবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নের অনেকগুলো সেট ছাপা হবে। কত সেট প্রশ্ন ছাপা হবে কেউ জানবে না। সব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে নিজ নিজ আসনে বসতে হবে। অনিবার্য কারণে কেউ দেরিতে আসলে রেজিস্টারে তার নাম-ঠিকানা, রোল নম্বর নিবন্ধন করে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হবে। পরে সেটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে ২ এপ্রিল, তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। এ পরীক্ষা সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দুটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এমএইচএম/জেএইচ/পিআর