কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে গণহত্যা দিবসে আজ (২৫ মার্চ) এক মিনিট অন্ধকারে (ব্ল্যাক-আউট) থাকবে সারা দেশ। রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারাদেশে প্রতিকী ‘ব্ল্যাক আউট’ থাকবে। একে কেন্দ্র করে যাতে কোনো দুষ্কৃতিকারীরা কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করতে না পারে সে জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
Advertisement
সম্প্রতি ডিএমপির নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট এক সভায় ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘২৫ মার্চ ১ মিনিট “ব্লাক আউট” নাইটে নাশকতা রোধে প্রস্তুত থাকবে পুলিশ। এ জন্য এ সময়টায় পরিকল্পিত নিরাপত্তা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এদিন জাতীয় গ্রিডের লাইন বন্ধ না করে যার যার অবস্থান থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রিক সুইচ এক মিনিট বন্ধ করে দেবেন। দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উদযাপনের ব্যবস্থা করা হবে। একইসঙ্গে এক মিনিট অন্ধকারাছন্ন সময়ে কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সে জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা প্রস্তুত রয়েছে।’
নিরাপত্তাসভায় কমিশনার ছাড়াও ডিএমপি ও বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
গণহত্যা দিবসে নিহতদের স্মরণে সারা দেশে এক মিনিট সব ধরনের বাতি বন্ধ রাখার কর্মসূচি নেয় সরকার। গত ১১ মার্চ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এক মিনিট ব্ল্যাক আউটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, গণযোগাযোগ অধিদফতর, জেলা প্রশাসক (সকল) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সকল)।
এআর/বিএ/এমএস
Advertisement