বাজারে পাওয়া অন্যান্য জাতের চালের মতোই নিরাপদ হিসেবে গোল্ডেন রাইসকে অনুমোদন দিয়েছে হেলথ কানাডা।
Advertisement
আন্তর্জাতিক রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইআরআরআই) একথা জানায়।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আইআরআরআই উদ্ভাবিত ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস দেশের কৃষি ক্ষেত্রে আবাদের পরিকল্পনা ঘোষণার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে গোল্ডেন রাইস এই অনুমোদন পেল।
২০১৩ সালে জেনেটিক্যালি মডিফাই (জিএম) বিটি বেগুনের আবাদ শুরুর পরে দেশে এখন পরীক্ষামূলকভাবে আরও ৩টি জিএমও শস্য গোল্ডেন রাইস, লেট ব্লাইট পটেটো জাত এবং বিটি কটন আবাদ শুরু হচ্ছে।
Advertisement
বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে গত বোরো মৌসুমে গোল্ডেন রাইস আবাদ শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে আবাদে গোল্ডেন রাইসের ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
মানুষের প্রতিদিনের খাবার হিসেবে প্রচলিত জাতের চালের স্থলে উদ্ভাবিত নতুন জাতের চাল প্রতিস্থাপন করা হলে জনস্বাস্থ্যের ওপর কিরূপ প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল। তবে হেলথ কানাডা গোল্ডেন রাইসকে নিরাপদ হিসেবে অনুমোদন দেয়ায় এই বিভ্রান্তি নিরসনে তা ভূমিকা পালন করতে পারে।
আন্তর্জাতিকভাবে খাদ্য নিরাপত্তা ও মানের জন্য স্বীকৃত সেফটি অ্যাসেসমেন্ট অব নোবেল ফুডস’র নিদের্শনা অনুযায়ী কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিতভাবে এই চালের গুণ ও মান যাচাই করে।
বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মাত্র ১৫০ গ্রাম গোল্ডেন রাইস এক ব্যক্তির একদিনের ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদার অর্ধেক পূরণ করবে।
Advertisement
এমবিআর/এমএস