নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহের জানাজা আর্মি স্টেডিয়ামে ইতোমধ্যে জাতীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Advertisement
জানা গেছে, আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা পরিচালনা করেছেন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাহমুদুল হক। নিহত ২৩ বাংলাদেশির কফিনসহ ১৯টি মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়ি বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে ৫টায় আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। এর আগে সোমবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে নিহত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টার্মিনালে অবতরণ করে লাশবাহী ৬১-২৬৪০ নম্বর বিমানটি।
আনুষ্ঠানিকভাবে নেপাল থেকে আসা মরদেহ গ্রহণ করেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। বিমান বাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে আজ যাদের মরদেহ দেশে ফেরত আনা হয় তারা হলেন, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
এছাড়া তিন বাংলাদেশির মরদেহ এখনও শনাক্ত হয়নি। তারা হলেন, নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
Advertisement
এসআই/এমএইচএম/এমএএস/ওআর/আরআইপি