জাতীয়

নতুন জীবন নিয়ে বিকেলে ফিরছেন শাহীন

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে আসা শাহীন বেপারী আজ রোববার বিকেলে ঢাকা ফিরছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০০৭২ ফ্লাইটে ফিরবেন তিনি।

Advertisement

নেপালে অবস্থানরত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ শাহীনের ফেরার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় তাকে বহনকারী বিমারটির উড্ডয়ন ও বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৩টায় বিমানটির শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর শাহীনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৬ষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে শাহীন দেশে ফিরছেন। তিনি কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

Advertisement

তার আগে একই হাসপাতাল থেকে শেহরিন আহমেদ, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, মেহেদী হাসান, আলমুন্নাহার অ্যানি ও রাশেদ রুবায়েত ঢাকায় ফিরেছেন। তারাও এখন ঢামেকে চিকিৎসাধীন আছেন।

শাহীন বেপারী বাংলাদেশ শান্তি সংঘের সদস্য এবং ঢাকা সদরঘাট এলাকার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটিতে মেসার্স করিম অ্যান্ড সন্স নামের একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। কোম্পানি থেকে বার্ষিক আনন্দভ্রমণে নেপাল গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি।

সোমবার দুপুরে নেপালের ইউএস-বাংলার বিএস-২২১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহত হয়েছে ৪৯ জন এবং আহত ২২ জন। আহতরা নেপালের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) হাসপাতাল, নরভিক হাসপাতাল, গ্রান্ডে হাসপাতাল, ওম হাসপাতাল ও মেডিসিটিতে রাখা হয়েছে।

১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

বিমানটিতে ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

এআর/এনএফ/পিআর