এদিনই চলে গিয়েছিলেন মানজারুল ইসলাম রানা। তার অকাল মৃত্যু এখনও কাঁদায় ক্রিকেট ভক্তদের। এই হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে এর আগেও জয় পেয়েছে টাইগাররা। আজও কি মাহমুদউল্লাহ-সাকিবদের মনের মধ্যে ছিল সেই শক্তি? সেই ১৬ মার্চ, আরও একটি অবিস্মরণীয় জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাতায়।
Advertisement
আজ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। যেই ম্যাচটিতে একটা সময় হারেরও যথেষ্ট সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ১৬ মার্চ তো টাইগাররা হারে না, আজ কেন হারবে?
২০০৭ সালের ১৬ মার্চ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল নক্ষত্র মানজারুল ইসলাম রানা। তার এমন অকাল প্রয়াণ নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো বাংলাদেশকে। টাইগার ক্রিকেটে অফুরন্ত সম্ভাবনা নিয়েই যে আগমণ ঘটেছিল প্রয়াত এই অলরাউন্ডারের।
১৯৮৪ সালের ৪ মে খুলনায় জন্ম মানজারুল রানার। ব্যাটে-বলে দারুণ সম্ভাবনাময় এক অলরাউন্ডার হিসেবেই ২০০৩ সালের নভেম্বরে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার। প্রথমে ওয়ানডে, তারপরের বছর টেস্ট দলেও জায়গা করে নেন প্রতিভাধর এই ক্রিকেটার। বাংলাদেশের পক্ষে ৬টি টেস্ট আর ২৫টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি।
Advertisement
দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০০৭ সালের এই দিনে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় মানজারুল রানাকে। তার সঙ্গে প্রাণ হারান খুলনারই আরেক উদীয়মান ক্রিকেটার সাজিদুল ইসলাম।
মানজারুলের এই আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে ভীষণ মুষড়ে পড়েছিল জাতীয় ক্রিকেট দল। ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে তখন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে টাইগাররা। পরের দিন ১৭ মার্চ ছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ।
তবে ওই শোকে ভেঙে পড়ার বদলে সেটাকে শক্তিতে পরিণত করেছিলো বাংলাদেশ। মানজারুলের সম্মানে জয় পেতে মরিয়া টাইগাররা সেদিন ভারতের মতো শক্তিশালী দলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় করে দিয়েছিল।
এরপর থেকে এই দিনটিতে খেলা থাকলেই যেন অন্যরকম প্রেরণা নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের ১৬ মার্চ এশিয়া কাপের ম্যাচটির কথা মনে আছে তো? শচিন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরিতে টাইগারদের ২৯০ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিলো ভারত। অথচ সেটা ৫ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।
Advertisement
আজ আরও একবার জয়ের দেখা মিলল ১৬ মার্চে। এমন একটি ম্যাচে, যে ম্যাচটির জয় বাংলাদেশকে তুলে দিয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে।
এমএমআর/জেএইচ