নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সেখানে চিকিৎসাধীন আরও তিন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তারা হলেন- মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার এ্যানি।
Advertisement
শুক্রবার বিকেল ৩টা ৩৩ মিনিটে বিজি-০০৭২ ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন শেহেরিন আহমেদ। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। এছাড়া আহত ইয়াকুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেয়া হচ্ছে।
মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানির বিষয়ে গতকাল কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে অনাপত্তি দেয়া হয়েছে। অনাপত্তি দেয়ায় আজ কাঠমান্ডুর স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় তারা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০০৭২ ফ্লাইটে রওনা দেন। তাদের সঙ্গে স্বজনরাও রয়েছেন।
এর আগে, ইউএস-বাংলার জিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) কামরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দেশে ফেরার পর মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার এ্যানিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। তাদের ইউনাটেড হাসপাতালে ভর্তি করানোসহ যাবতীয় চিকিৎসা ইউএস-বাংলা করবে।
Advertisement
গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।
বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।
এদিকে কেএমসি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও বিমান দুর্ঘটনার রোগীদের কো-অর্ডিনেটর ড. রাজিভ রাজ মানান্দার জাগো নিউজকে গতকাল বলেন, ‘স্বর্ণার পরিবারের তিনজন বিমানে ভ্রমণ করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে স্বর্ণা বিমানে উঠতে খুব ভয় পাচ্ছে। সে সড়কপথে বাংলাদেশে ফিরতে চাইছে। আমরা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, তার শরীরের অবস্থা সড়কপথে ভ্রমণের উপযোগী নয়।’
ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশি ইমরানা কবির (৩০) এবং কবির হোসেনের (৫২) অবস্থা ভালো নয় বলেও জানান তিনি।
Advertisement
জেইউ/এমএআর/পিআর