নেপালে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সেখানে চিকিৎসাধীদের মধ্যে আরও তিন বাংলাদেশি ফিরছেন শুক্রবার বিকেলে। আজ বিকেল সোয়া ৩ টায় বিজি-০০৭২ ফ্লাইটে ঢাকায় পা রাখবেন মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার এনি।
Advertisement
এরআগে বৃহস্পতিবার ফিরেছেন শেহেরিন আহমেদ। শেহরিন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া আহত ইয়াকুব আলিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের নেয়া হচ্ছে।
মেহেদী, স্বর্ণা, নাহার ও শেহেরিনের বিষয়ে গতকাল কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নিতে অনাপত্তি দেয়া হয়েছে।
সে মোতাবেক আজ কাঠমান্ডু সময় দুপুর দেড়টায় তাদের বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০০৭২ ফ্লাইটে কাঠমান্ডু ছাড়ার কথা রয়েছে।
Advertisement
ফ্লাইটে তাদের তিন জনের সঙ্গে স্বর্ণার মা মোসাম্মৎ সালমাও থাকবেন।
গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।
এদিকে কেএমসি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ও বিমান দুর্ঘটনার রোগীদের কো-অর্ডিনেটর ড. রাজিভ রাজ মানান্দার জাগো নিউজকে গতকাল বলেছিলেন, ‘স্বর্ণার পরিবারের ৩ জন বিমানে ভ্রমণ করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে স্বর্ণা বিমানে উঠতে খুব ভয় পাচ্ছে। সে সড়কপথে বাংলাদেশে ফিরতে চাইছে। আমরা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, তার শরীরের অবস্থা সড়কপথে ভ্রমণের উপযোগী নয়।’
Advertisement
ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশি ইমরানা কবির (৩০) এবং কবির হোসেনের (৫২) অবস্থা ভালো নয় বলে গতকালও জানিয়েছিলেন তিনি।
এআর/এনএফ/এমএস