নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহত মৃত্যুঞ্জয়ী শেহরিন আহমেদ দেশে ফিরছেন। হাতপাতাল কর্তৃপক্ষ অনাপত্তি দেয়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেহরিন আহমেদের খালাতো ভাই ইমন জাগো নিউজকে জানান, হাতপাতাল কর্তৃপক্ষ অনাপত্তি দিয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) নেপালের স্থানীয় সময় দেড়টায় বিজি-০০৭২ ফ্লাইটে ঢাকা উদ্দেশে রওনা দেব।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় বিকেল সোয়া ৩টা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ঢাকায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
জানা গেছে, বিমান দুর্ঘটানায় শেহরিন আহমেদের পা ভেঙে গেছে এবং শরীরের ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। সে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজের (কেএমসি) প্ল্যাস্টিক সার্জারি অ্যান্ড বার্ন ইউনিট-৩ এ চিকিৎসাধীন ছিলেন।
Advertisement
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জাগো নিউজকে বলেন, নেপালের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি অ্যান্ড বার্ন ইউনিট-৩ এ চিকিৎসাধীন শেহরিন আহমেদকে দেশে ফেরার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। তার পা ভেঙে যাওয়াসহ শরীরের ৮ থেকে ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ঢামেক বার্ন ইউনিটে তার চিকিৎসার জন্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিকেল চারটায় তাকে মেডিকেলে অানতে ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে গাড়ি পাঠানো হয়েছে।
শেহরিন আহমেদ ছাড়া আরও তিন বাংলাদেশিকে কেএমসি হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ অনাপত্তি দিয়েছে। তারা হলেন- মেহেদী হাসান, কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার এনি।
এ বিষয়ে নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস জাগো নিউজকে জানান, আহত শেহরিন আহমেদকে আজকেই (বৃহস্পতিবার) দেশে নেয়া হচ্ছে। সময় মতো বিমান আসলে নেপাল সময় দেড়টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। এছাড়া বাকি তিনজনের কাগজপত্র ঠিক করা হচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে তাদেরকে আগামীকাল (শুক্রবার) দেশে পাঠানো হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, মহিলা ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।
এআর/আরএস/আরআইপি