ব্ল্যাক বক্সের নাম অনেকেই শুনেছেন। বিশেষ করে যারা বিমানে ভ্রমণ করেছেন; তারা জেনে থাকবেন এর সম্পর্কে। সবাই এটিকে ব্ল্যাক বক্স হিসেবে জানলেও এর আসল পরিচয় হচ্ছে- ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার (এফডিআর) ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। এখন কথা হচ্ছে- কী থাকে এই যন্ত্রটির মধ্যে? আসুন জেনে নেই ব্ল্যাক বক্স সম্পর্কে-
Advertisement
অবস্থানব্ল্যাক বক্স বিমানের পেছনের দিকে অবস্থিত থাকে।
যা থাকে ব্ল্যাক বক্সেএটি এমন একটি ডিভাইস, যার কয়েকটি অংশ থাকে। এর দুটি প্রধান যন্ত্রের মধ্যে একটি হচ্ছে ‘ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার (এফডিআর)’ ও অপরটি হচ্ছে ‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)’।
এফডিআরফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার অংশে বিমানের টেকনিক্যাল বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষিত হতে থাকে। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে প্লেনের গতি, বাতাসের গতি, বিমান কত উঁচুতে উড়ছে, জ্বালানি প্রবাহ, চাকার গতিবিধি প্রভৃতি। বড় আকারের বিমানের ব্ল্যাক বক্সে এরকম ৭০০ পর্যন্ত প্যারামিটার সংরক্ষণ করা যায়।
Advertisement
সিভিআরককপিট ভয়েস রেকর্ডার অংশে বিমান চালকের কক্ষের সব অডিও বা কথাবার্তা রেকর্ড হয়। এতে পাইলট ও অন্যান্য ক্রু’র কথাবার্তা ও আলোচনা শুনতে পাওয়া যায়। যা থেকে শেষ মুহূর্তের সমস্যাগুলো সম্পর্কে ধারণা নেওয়া সম্ভব।
রেকর্ডিং টাইমব্ল্যাক বক্সের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার সাধারণত সর্বশেষ ১৭ থেকে ২৫ ঘণ্টার ফ্লাইট ডাটা সংরক্ষণ করে রাখে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পাইলট ও তার কক্ষের সবার কথাবার্তার সর্বশেষ ২ ঘণ্টার রেকর্ড রাখে। সলিড স্টেট মেমোরি ড্রাইভ না হলে ম্যাগনেটিক স্টোরেজে এই রেকর্ডিং টাইম ৩০ মিনিটও হতে পারে।
গুরুত্ববিমান যে কোনো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে সেই দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে সবচেয়ে সঠিক ধারণা পেতে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি জরুরি, তা হলো বিমানের এই ব্ল্যাক বক্স।
তথ্য উদ্ধারদুর্ঘটনাকবলিত কোনো বিমানের ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়ার পর এর তথ্য উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। স্টোরেজ থেকে ডাটা নিয়ে তা বিশ্লেষণ করতে বিশেষ সফটওয়্যার ও যন্ত্র প্রয়োজন। এতে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসও লাগতে পারে।
Advertisement
এসইউ/জেআইএম