আইন-আদালত

জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না খালেদার

দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ৩৪ দিন কারাবাসের পর সোমবার উচ্চ আদালত থেকে চার মাসের জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে এদিন কুমিল্লায় একটি হত্যা মামলায় খালেদাকে হাজির করার নির্দেশ দেয়ায় জামিনে মুক্ত হতে পারছেন না তিনি।

Advertisement

কুমিল্লার মামলায় আগামী ২৮ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অন্য কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার না দেখানো হলেও ২৮ মার্চ পর্যন্ত খালেদাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। তবে সেদিন তার জামিন হবে কি-না, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে কুমিল্লার আদালতের ওপর।

অন্যদিকে দুর্নীতির যে মামলায় হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পেয়েছেন সেটি আটকে যায় কি-না, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খালেদার আইনজীবীরা।

Advertisement

সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। একই দিন কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আট যাত্রী হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশসহ ২৮ মার্চ তাকে আদালতে হাজির রাখতে নির্দেশ (পি.ডব্লিউ) দেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাইন বিল্লাহ।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল জাগো নিউজকে বলেন, কুমিল্লায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর যে আদেশ দেয়া হয়েছে তা আমরা শুনেছি। হাতে আদালতের আদেশের কোনো কপি এখনও পাইনি। তাকে হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি হিসেবে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। তবে খালেদার জামিনে মুক্তির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতের ওপর নির্ভর করবে। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে কি-না, সেটা আমরাও দেখছি।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বলেন, আমরা শুনতে পেয়েছি কুমিল্লার একটি হত্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এ মামলায় জামিন না পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, খালেদার জামিনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আমরা আপিল করব।

Advertisement

দুর্নীতি মামলায় আদালত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুরের সময় বলেন, চার গ্রাউন্ডে বিএনপি চেয়ারপারসনকে জামিন দেয়া হলো। গ্রাউন্ডগুলো হলো- খালেদা জিয়ার সাজার পরিমাণ কম, বয়স্ক ও শারীরিক বিবেচনা, জামিনের শর্ত ভঙ্গ হয়নি এবং নিম্ন আদালতের নথি উচ্চ আদালতে আসা বা আপিল শুনানি শুরু হয়নি।

ওই চার বিবেচনায় জামিন আদেশ দেয়ার পর আদালত বলেন, ‘এই চার মাসের মধ্যে আপিলের জন্য পেপার বুক তৈরি করতে হবে এবং আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দীন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।

জেএ/এফএইচ/এমআরএম/এমএমজেড/জেআইএম