গত কয়েকদিন যাবত বিশ্ব গণমাধ্যমে যে যুবকটির সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে সে সংবাদটি নিয়ে বাংলাদেশে আমরা সকলেই কমবেশি রসিকতা করেছি। প্রথমত যুবকটি বিমানযাত্রার সময় যাত্রীদের সামনে স্বমেহন করেছিলো যা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। অন্যদিকে যুবকের বাড়ি নোয়াখালী হওয়াতে বাঙালির রসবোধে যেন বাড়তি উপসর্গ যোগ করেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংবাদটি পরিবেশনের ক্ষেত্রে যে কত বড় অপেশাদারী দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো সেই প্রসঙ্গ আমাদের সকলের নজর এড়িয়ে গেছে।
Advertisement
যদিও শুরুর দিকে আমি নিজেও সংবাদটি পড়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিলাম নোয়াখালীর সেই তরুণের সংবাদটি আমাকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে যখন মূল ঘটনাটা জানতে পারি তখন লজ্জ্বিত হয়েছি নিজেই। আমাদের অনেকেরই ধারণা, বিদেশি কোন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেই বুঝি সেই সংবাদ সঠিক আর বস্তুনিষ্ঠ হয়ে যায়।
সংবাদটি যদি নেতিবাচক হয় তখন কোন প্রকার বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া আমরা নিজেদের নিয়ে ছিঃ ছিঃ করতে থাকি। কিন্তু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও সবসময় ঠিক সংবাদ প্রচার করে না। তবে বিদেশে কোন ভুল সংবাদ প্রচার হলে বা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এই নিয়মের কোন বালাই নেই। কখনো কখনো আমার মনে হয় আমাদের রুখে দাঁড়ানোর শিরদাড়াই নেই।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার পথে মালিন্দ এয়ারের একটি ফ্লাইটে নগ্ন অবস্থায় বাংলাদেশি যুবকের কান্ড নিয়ে প্রথম সংবাদটি নজরে আসে কুয়ালালামপুরের স্থানীয় পত্রিকা কোকনাট ডট কমের মাধ্যমে। 'কোকনাট ডট কম' সংবাদটির সাথে অভিযুক্ত তরুণের টপলেস ছবি ও পাসপোর্টের ছবি প্রকাশ করে। কোকনাট ডট কমের পর সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
Advertisement
তারপর ব্রিটেনের দ্যা সান ও ডেইলি মেইলসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম সংবাদটি প্রকাশ করে। কোকনাট ডট কম সংবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট যুবকের যে ছবিটি ব্যবহার করেছে সেই ছবিতে তরুণের চেহারা স্পষ্ট ছিলো একই সাথে পাসপোর্টেও সেই তরুণের ছবি, জন্মসন, পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, তার গ্রামের বাড়ি সব কিছুই স্পষ্ট ছিলো।
সংবাদে সংশ্লিষ্ট যুবকের আত্মপক্ষ সমর্থন করা কোন বক্তব্য না থাকায় সংবাদটি একপেশে। সংশ্লিষ্ট যুবক অপরাধী কিনা সেটি প্রমাণিত হওয়ার আগেই মালিন্দা এয়ার যুবকের ছবি ও পাসপোর্টের বিস্তারিত গণমাধ্যমে সরবরাহ করেছে এবং টুইট করে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছে। এই পয়েন্টে কোকনাট ডটকম ও মালিন্দা এয়ার উভয় কর্তৃপক্ষই আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ করেছে।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় পত্রিকার বিবরণ দিয়ে ব্রিটেনের ডেইলি মেইল ও দ্য সান সংবাদ প্রকাশ করলেও জনপ্রিয় এই দুট ব্রিটিশ দৈনিকও একই ভুল করেছে। ব্রিটেনের গণমাধ্যম গুলো বাংলাদেশী তরুণের ছবি ঝাপসা করে দিলেও অভিযুক্ত তরুণের আত্মপক্ষ সমর্থন করা কোন বক্তব্য তুলে ধরেনি। তবে ব্রিটিশ দৈনিক দু'টি তাদের পিঠ বাঁচাতে সংবাদের সূত্র হিসেবে মালয়েশিয়ার ওয়েব পোর্টালগুলোর লিংক জুড়ে দিয়েছে। কিন্তু ঘটনার একদিন পর সংশ্লিষ্ট তরুণ যখন বাংলাদেশে ফিরে আসলেন আমরা জানতে পারলাম মালিন্দ'র ফ্লাইটের সেই যুবক ছিলেন মানসিকভাবে অসুস্থ।
বাংলাদেশের পুলিশের কাছে সংশ্লিষ্ট তরুণের বাবা মেডিক্যাল সনদপত্র উপস্থাপন করেছেন। অসুস্থ সেই যুবকের সাথে একই ফ্লাইটে তার বাবাও ছিলেন। মালয়েশিয়া কিংবা ব্রিটেনের কোন সংবাদে এই তথ্যটি আসেনি। যুবকের বাবার সাথে যদি মালিন্দ এয়ার কথা বলতো তাহলে সেই তরুণের মানসিক অবস্থার বিষয়টি এয়ারলাইন্সটি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারতো। তাৎক্ষণিকভাবে বিমানযাত্রীদের সেই তরুণের মানসিক অবস্থার বিষয়টি জানিয়ে দিলে যাত্রীরাও অস্বস্তি কাটিয়ে উঠতে পারতেন। মানসিক রোগীদের বিমানযাত্রায় কোন আইনি বাঁধা নেই, যদি সেই যাত্রীর সাথে তার অভিভাবক বা কেয়ারার থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সই সেই মানষিক রোগীকে দেখাশোনার জন্য দায়িত্ব নিয়ে থাকে। কিন্তু এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী সেই তরুণের ক্ষেত্রে তার মানসিক অবস্থার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে যাত্রীর প্রাইভেসি লঙ্ঘন করেছে।
Advertisement
বাংলাদেশী তরুণের পরিবার চাইলে সংশ্লিষ্ট এয়ালাইন্স ও মালয়েশিয়ান সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ ও ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে দায়ী পক্ষটি হলো সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স। অন্যদিকে যে সকল যাত্রীরা সেই তরুণের ছবি তার অনুমতি ছাড়া তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে মালিন্দ এয়ারলাইন্সকে তার যাত্রীর প্রাইভেসি রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা যেতে পারে। মালিন্দ এয়ারের প্রাইভেট পলিসিতে www.malindoair.com পরিস্কার ভাবে উল্লেখ রয়েছে তারা যাত্রীর গোপনীয়তা রক্ষা করবে, তার তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ করবে, কিন্তু আমরা দেখেছি বাংলাদেশী যাত্রীর পাসপোর্ট তারা প্রকাশ করে দিয়েছে।
বিমানের ভেতরে যদি অন্য কোন যাত্রী বাংলাদেশী সেই তরুণের পাসপোর্টের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়, তাহলেও সেই দায় মালিন্দ এয়ারের। কেননা বিমানের নিরাপত্তা রক্ষীরা বাংলাদেশী যাত্রীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কেননা সেই সময় বাংলাদেশী যাত্রীটি বিমানের ভেতরে অবস্থান করছিলো। যদি বাংলাদেশী সেই তরুণ অপরাধ বা পাবলিক নুইসেন্স করেও থাকে; প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া যেতে পারতো, কিন্তু তার উলঙ্গ ছবি বা পাসপোর্টের ছবি প্রকাশ করে ( যেখানে তার ছবি স্পষ্ট) গোপনীয়তা নষ্ট করার অধিকার এয়ারলাইন্সটির নেই।
এখন প্রশ্ন হলো অভিযুক্ত তরুণের পরিবার এই ক্ষতিপূরণ চাইবেন কিনা। যদি ভিকটিম ক্ষতিপূরণ না চায় তাহলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স বা সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। তবে মালয়েশিয়ার কোন বাংলাদেশী কিংবা বাংলাদেশের কোন নাগরিক বা নোয়াখালী অঞ্চলের কোন অধিবাসী যদি মনে করেন এই ঘটনার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ তথা নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে তাহলেও সংশ্নিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব।
তবে শক্তিশালী পক্ষটি হচ্ছে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার পরিবার। তবে পরিবারটি যদি এতো ঝামেলায় জড়াতে না চান তাহলে তারা মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাতে পারেন অথবা মালয়শিয়াতে অবস্থানরত কোন বাংলাদেশী কমিউনিটি সংগঠন বা কমিউনিটি ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে বিষয়টির আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে পারেন।
গত বছর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো পুলিশ ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স থেকে এক যাত্রীকে জোর করে নামিয়ে দিয়েছিলো। যাত্রী ধারণক্ষমতার বেশি টিকেট ইস্যু করার কারণে একজন যাত্রীকে জোর করে নামিয়ে দিয়েছিলো এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। ৬৯ বছর বয়সী ডক্টর ডেভিড ডাওকে জোর করে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে ইউনাইটেড এয়ারের বিরুদ্ধে মামলা করে বসেন ডক্টর ডেভিড। ডেভিডের দাবি ছিলো তিনি এশিয়ান বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণে ইউনাইটেড এয়ার তাকেই বিমান থেকে জোর করে নামিয়ে দেয়।
ডেভিডের প্রতি এমন অন্যায় আচরণের দায়ে ইউনাইটেড এয়ার বর্জন শুরু করে যাত্রীরা। শেয়ারের দর পড়তে থাকে তাদের। ব্যবসা বাঁচাতে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। এই ঘটনার দুই সপ্তাহ পরে স্যানফ্রান্সিসকো থেকে ডালাসগামী এ্যামেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এক নারী যাত্রী তার বাচ্চার ট্রলিসহ কেবিনে উঠার সময় ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট সেই নারী যাত্রীর ট্রলি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় ও খারাপ আচরণ করে। সেই নারী যাত্রীকে সমর্থন করে অপর এক যাত্রী এগিয়ে গেলে সেই যাত্রী ও ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট একে অপরকে আঘাত করেন।
পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট ফ্লাইট এটেন্ডেন্টের অপরাধ প্রমাণিত হয় এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স অভিযুক্ত ফ্লাইট এটেন্ডেন্টকে চাকরিচ্যুত করে। যদিও ঘটনা দু'টি বাংলাদেশি তরুণের ঘটনা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, তবে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যদি ভুল করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপন করা যায় সেই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। অথবা জানলেও তেমন গুরুত্ব দিতে চাই না। মালিন্দা এয়ার বাংলাদেশি ওই তরুণের ঘটনাটি নিয়ে যে কান্ড ঘটিয়েছে এটি নিছক পাবলিসিটি স্টান্ট ছাড়া কিছুই নয়। এধরনের পাবলিসিটি স্টান্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো খুব জরুরি কেননা ঘটনাটি শুধু সংশ্লিষ্ট তরুণ বা তার পরিবারকেই ক্ষতিগ্রস্থ করেনি অপমানিত করেছে বাংলাদেশকে।
আজ যদি আমরা এই ঘটনাটির প্রতিবাদ www.malindoair.com না করি তাহলে ভবিষ্যতে মালয়েশিয়াগামী সকল বাংলাদেশীর এই ঘটনাটির জন্য অপদস্থ হতে হবে। সেই সাথে মালয়েশিয়াতে কর্মরত সকল বাংলাদেশীদের সেই দেশের নাগরিকদের কাছে অস্বস্থিতে ফেলবে। তাই ঘটনাটি শুধু সংশ্লিষ্ট তরুণের ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বাংলাদেশের ইমেজেরও বিষয় বটে। তাই আমাদের দায়িত্ব রয়েছে নিজ দেশের কোন নাগরিকের এমন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের দায়ে এয়ারলাইন্সটিকে অভিযুক্ত করা। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের নাগরিকরাও মালিন্দ এয়ারের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসে (customer_care@malindoair.com) ইমেইল করে প্রতিবাদ জানাতে পারেন, তাদের ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বাধ্য করতে পারেন। কারণ মালিন্দ এয়ার তার যাত্রীর প্রাইভেসি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যত বেশি ইমেইল যাবে তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসে বাঙালি যাত্রীর প্রাইভেসি ভঙ্গের রিএ্যাকশনটাও তারা অনুভব করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ইউনাইটেড এয়ার বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পরই ইউনাইটেড এয়ার ক্ষমা চেয়ে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলো। মালিন্দ এয়ারকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে বর্তমানে মালয়েশিয়াতে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে যা মালয়েশিয়াতে অবস্থানরত মোট বিদেশী নাগরিকের ছয় ভাগের এক ভাগ।
আগামী তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে আরো দুই লাখ শ্রমিক নিয়ে যাওয়ার চুক্তি করেছে দেশটি। এই ৭ থেকে ৮ লাখ বাংলাদেশী প্রতি বছর কমবেশী মালয়েশিয়ার কোন না কোন লাইন্স ব্যবহার করে। এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী যদি মালিন্দা এয়ার বর্জন করে তাহলে ঢাকা-মালয়েশিয়া রুটে তাদের বিমানটি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোন গতি থাকবে না।
মালিন্দ এয়ারকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে বর্তমানে মালয়েশিয়াতে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে যা মালয়েশিয়াতে অবস্থানরত মোট বিদেশী নাগরিকের ছয় ভাগের এক অংশ আগামী তিন বছরে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে আরো দুই লাখ শ্রমিক যাওয়ার চুক্তি করেছে দেশটি। এই ৭ থেকে ৮ লাখ বাংলাদেশীরা প্রতি বছর কমবেশী নিশ্চয়ই মালিন্দ এয়ার লাইন্সটি ব্যবহার করে। এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সটি বর্জন করে তাহলে ঢাকা-মালয়েশিয়া রুটে তাদের বিমানটি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোন গতি থাকবে না। তাই ফেসবুকে অসুস্থ সেই তরুণের সংবাদ শেয়ার করে নোয়াখালী অঞ্চলকে নিয়ে হাস্যরসে না মেতে মালিন্দ এয়ারে প্রতিবাদ জানানো অধিক জরুরি।
লেখক : কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, চ্যানেল এস টেলিভিশন, লন্ডন ও যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, একাত্তর টেলিভিশন।
এইচআর/এমএস