অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ফারমার্স ব্যাংককে টিকিয়ে রাখতে মোট শেয়ারের ৬০ শতাংশ বিক্রি করতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা হবে। এসব শেয়ার সরকারি ব্যাংক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিনে নেবে।
Advertisement
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে আইনের মুখোমুখি করা হবে। আমরা কোনো ব্যাংককেই মরে যেতে দেব না।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আগামী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নেয় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই), ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি) এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
Advertisement
অর্থনীতি বলেন, আলোচনায় ব্যাংক কেলেঙ্কারির বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে উঠে এসেছে। আসলে ব্যাংক ক্লাপশটা জাতীয় ইস্যু হয়ে যায়। ব্যাংক ক্লাপশের অভিজ্ঞাও আমাদের খুবই কম। এর আগে বাংলাদেশে ১৯৮৪ সালে ব্যাংক ক্লাপশের ঘটনা ঘটে। তথন আমিও কিছু টাকা খুঁয়েছিলাম।
‘অনেক ইন্ডাস্ট্রি সমস্যায় পড়ে। তাইতো আমরাই রুগ্ন শিল্প পলিসি করেছি। অনেক প্রতিষ্ঠান বাঁচিয়েছি। তারপরও অনেকগুলো মরেছে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে এত হইচই হয়নি। কিন্তু ব্যাংকটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই নতুন করে আর কোনো ব্যাংককে মরে যেতে দেয়া হবে না।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের বর্তমান কর্তৃপক্ষ টাকা চায়। কিন্তু অধিকাংশ শেয়ার তাদের নামেই রাখতে চাই। কিন্তু আমরা মোট শেয়ারের ৬০ শতাংশ বিক্রি করতে কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করবো। তবে এক্ষেত্রে সরকার কোনো টাকা দিচ্ছে না। সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসব শেয়ার কিনবে।
যারা এ ব্যাংকটিকে ধ্বংস করলো তাদের কোনো শাস্তি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই তাদের আইনের মুখোমুখি করা হবে।
Advertisement
মুহিত বলেন, আমরা এতদিন ঋণ নেইনি। তবে আগামী বাজেটে কিছু ঋণ নিতে পারি। তবে এ বিষয়ে আলাচনায় অংশ গ্রহণকারী অর্থনীতিবিদরা বলেছেন ঋণ নেয়াতে যাতে দায়ভার বেশি না। সে বিষয়টি আমিও তাদের নিশ্চিত করেছি যে খুব বেশি বার্ডেন হবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আলোচনায় উঠে এসেছে দক্ষ শ্রমিক তৈরি বিষয়টি। আমাদের সরকারও দক্ষতার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। দক্ষতা মানে শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে দক্ষতা নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও দক্ষতাও প্রয়োজন।
এমইউএইচ/বিএ