নিয়মিত সাইক্লিং আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি আপনার শরীর ও মনকে করবে প্রাণবন্ত ও সজীব। ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাইক্লিং একটি উত্তম পন্থা। এটি আমাদের বিপাকক্রিয়ার হার বাড়িয়ে দেয়, মাংস পেশীর গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের চর্বি কমিয়ে দেয়। সাইক্লিং হচ্ছে শারীরিক ব্যায়ামের একটি আরামদায়ক মাধ্যম। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন মানুষের সপ্তাহে ব্যায়ামের মাধ্যমে কমপক্ষে ২০০০ ক্যালরি কমানো উচিৎ, যেখানে ১ ঘন্টা সাইক্লিং করে প্রায় ৩০০ ক্যালরি কমানো সম্ভব।
Advertisement
আরও পড়ুন : ভালোবাসায় বয়স কতটা জরুরি?
নিয়মিত সাইক্লিং আপনার হৃদযন্ত্র, ফুসফুস ও রক্ত চলাচল সচল রাখতে এবং এদের উন্নয়নে সহায়তা করে। যা আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সাইক্লিং আপনার হৃদযন্ত্রের পেশীকে শক্তিশালী করে, নাড়ির স্পন্দনের হার কমিয়ে দেয় এবং রক্তে চর্বীর মাত্রা কমিয়ে দেয়।
সাইক্লিং মানুষের শারীরিক সচলতা আনায়ন, স্থুলতা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত চলাচল সচল রাখতে সহায়তা করে যার ফলে মানুষ ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকে।
Advertisement
সাইক্লিং হাঁটুর জোড়ায় গতিশীলতা আনায়ন করে এবং পায়ের পেশীকে আরো শক্তিশালী করে। বাতরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক বিশেষজ্ঞ সাইক্লিং করার পরামর্শ দেন।
দুশ্চিন্তা, চাপ ও হতাশা দূরীকরণেও সাইক্লিং খুবই কার্যকরী। সাইক্লিং মানুষের শরীর ও মনকে সতেজ ও চাঙা করে দেয়। যা মানুষের আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন : প্রথম দেখায় যে প্রশ্নগুলো করবেন
নিয়মিত সাইক্লিং মানুষের ক্যান্সার বিশেষ করে কোলন ও ব্রেস্ট ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সাইক্লিং মানুষের স্থুলতা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ, মানসিক সমস্যা ও ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করে যা ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ, ফলে সেই সাথে মানুষের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়।
Advertisement
এইচএন/এমএস