আগামীকাল ঐতিহাসিক ৭মার্চ। এ উপলক্ষে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতি হিসেবে উপস্থিতি ও ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
৪৭ বছর আগে ১৯৭১ সালের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ উদ্যানে দাঁড়িয়ে বাঙালি জাতির উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণামূলক ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।
বহুল স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চের ভাষণের এদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই উদ্যানে দাঁড়িয়ে আগামী দিনের বিভিন্ন কর্মপন্থার ওপর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। তার ভাষণ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ শেষ মুহূর্তের জোর প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন লেকের পূর্বদিকের দক্ষিণ পাশে উত্তরমুখ করে বিশাল মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে গোটা মঞ্চ সাজানো হচ্ছে। ডজনখানেকের বেশি শ্রমিক কাঠের নৌকার মধ্যে মঞ্চের পাটাতন বিছানোসহ বিভিন্ন কাজ করছেন।
Advertisement
মঞ্চের সামনে নির্দিষ্ট একটি এলাকাজুড়ে বাঁশের ব্যারিকেড দেয়া হচ্ছে। ব্যারিকেডের বাইরে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের জন্য প্লাস্টিকের চেয়ার বসানো হচ্ছে। দুপুর সোয়া ১২টার সময় মঞ্চ নির্মাণসহ সামগ্রিক প্রস্তুতি দেখতে সেখানে উপস্থিত হন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে আরও দেখা যায়, মঞ্চের পূর্বদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। বাংলা একাডেমির বিপরীত দিকের গেটের অদূর থেকে উদ্যানের বিভিন্ন স্থানে মাইক লাগানো হচ্ছে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে সিসিটিভি স্থাপন করা হচ্ছে। উদ্যানের ভেতর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে।
৭মার্চ উপলক্ষে শুধুমাত্র রাজধানীতে নয়, গোটা দেশে বিভিন্ন কার্য়ক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন; সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ এবং দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন।
এমইউ/এমএআর/আরআইপি
Advertisement