অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক থেকে গোল করলেন লিওনেল মেসি। সঙ্গে সঙ্গেই নতুন এক মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন মেসি। ক্যারিয়ারে ৬০০তম গোলের চূড়ায় উঠে গেলেন এ আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মেসির অসাধারণ ফ্রি-কিকের এই গোলেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে লা লিগার শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে বার্সেলোনা।
Advertisement
৬০০ গোলের মধ্যে ৫৩৯টিই তিনি করেছেন বার্সেলোনার জার্সি গায়ে। বাকি ৬১টি এসেছে তার আর্জেন্টিার জার্সি গায়ে। সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৭৪৭টি। অথচ, এই মাইলফলকে পৌঁছাতে আরও ১১০টি ম্যাচ বেশি খেলতে হয়েছে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। তিনি ৬০০ গোল করেছেন ৮৫৭ ম্যাচ খেলে। একই সঙ্গে ন্যু ক্যাম্পে চলতি মৌসুমে এ নিয়ে মোট ৩২টি ফ্রি-কিক নিয়েছেন মেসি।
৬০০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছাতে মেসির সবচেয়ে ভালোবাসার প্রতিপক্ষ হচ্ছে লা লিগার ক্লাব সেভিয়া। তাদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৯টি গোল করেছেন তিনি। এরপরই রয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তাদের বিপক্ষে করেছেন ২৮ গোল। রোববার রাতের ফ্রি-কিকে নেয়া গোলসহ হয়েছে এই ২৮টি।
এ নিয়ে ক্যারিয়ারে মোট ৩৮টি হ্যাটট্রিক করেছেন লিওনেল মেসি। একবার এক ম্যাচে করেছেন ৫ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে, ২০১২ সালের ৭ মার্চ।
Advertisement
ইতিমধ্যেই অনেকগুলো রেকর্ডে নাম লিখেছেন মেসি। এর মধ্যে এক ক্লাবের হয়ে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড, বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড, লা লিগায় সর্বকালের সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডসহ অনেক প্রাচুর্যই লেখা রয়েছে তার নামের পাশে। শুধু গোল স্কোরিং রেকর্ডই নয়, আরও অনেক ক্ষেত্রেও রেকর্ড ভঙ করে চলেছেন তিনি।
জিরোনার বিপক্ষে লুইস সুয়ারেজকে ১৪৮তম গোলের অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। যা লা লিগার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। রিয়াল মাদ্রিদের মিকায়েলের ১৪৭টি অ্যাসিস্টের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
যেভাবে ৬০০ গোল করেছেন মেসিবাম পায়ে: ৪৯৬টি। ডান পায়ে : ৭৮টি।হেড করে : ২৪টি এবংঅন্যান্য : ২টি
পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন : ৭৭টিফ্রি-কিক থেকে : ৩৯টিডি-বক্সের ভেতর থেকে গোল করেছেন : ৫০৪টি এবংবক্সের বাইরে থেকে গোল করেছেন : ৯৬টি।
Advertisement
যে সব লিগ এবং টুর্নামেন্টে গোল করেছেনলা লিগায় : ৩৭৩টিচ্যাম্পিয়ন্স লিগে : ৯৮টিকোপা ডেল রে : ৪৭টিস্প্যানিশ সুপার কাপ : ১৩টিইউরোপিয়ান সুপার কাপ : ৩টিক্লাব বিশ্বকাপ : ৫টিকোপা আমেরিকা : ৮টিফিফা বিশ্বকাপ : ৫টিবিশ্বকাপ বাছাই পর্ব : ২১টিপ্রীতি ম্যাচে : ২৭টি
আইএইচএস/পিআর