বৃহস্পতিবার ভারত এবং পাকিস্তানসহ পঁচিশটি দেশকে নিয়ে শুরু হচ্ছে কাবুল কনফারেন্স। বুধবারই কাবুলে পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। আফগানিস্তানের পুনর্গঠন, শান্তিপ্রক্রিয়া এগোনো, তালেবান সংগঠনগুলির সঙ্গে আলাপ আলোচনা নিয়ে কৌশল তৈরি হবে ওই সম্মেলনে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ঘোষিত বিবৃতিতে আফগানিস্তান প্রশ্নে ভারতকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে বলার পরে সেখানকার আঞ্চলিক রাজনীতির অভিমুখ কিছুটা বদলেছে। কাবুল কনফারেন্স নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে শান্তি ও সুস্থিতি ফেরাতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক- দু’রকমের উদ্যোগেই ভারত সামিল হতে চলেছে।
পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, এই কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি কিছুটা বুঝতে পারবে যে এই অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশগুলি কীভাবে সন্ত্রাস রফতানি করে। ভারত যে আফগান নীতিকে ঢেলে সাজতে চাইছে তা আরও স্পষ্ট করতে সে দেশে নতুন একজন রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ করা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বিনয় কুমারকে খুব শিগগিরই কাবুলে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হবে।
গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের পরিচালক লিজা কার্টিস। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা উন্নত করে আঞ্চলিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পাকিস্তানকে চাপ দিয়েছেন লিজা।
Advertisement
মার্কিন এই চাপের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাসে মদদের অভিযোগে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) পক্ষ থেকে বড় মাপের আর্থিক নিষেধাজ্ঞা। চাপের মুখে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নিজেদের ভাবমূর্তি পরিচ্ছন্ন করে তুলে ধরতে পাকিস্তানও এখন নতুন করে আলোচনার দরজা খুলতে চাইছে ভারতের সঙ্গে।
নরেন্দ্র মোদি সরকারও প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের সুতো একেবারে কেটে দিতে চাইছেন না। শীর্ষ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক না করলেও আলোচনার সূত্র ধরে রাখতে আগ্রহী তারা। গত ডিসেম্বরেই দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে একটি গোপন বৈঠক হয়। দু’সপ্তাহ পরে সংবাদমাধ্যমে সেকথা প্রকাশিত হয়।
টিটিএন/পিআর
Advertisement