আন্তর্জাতিক

শ্রীদেবীর মৃত্যুর ব্যাখ্যা দিতে বাথটাবে শুয়ে পড়লেন সাংবাদিক!

বাথটাবের পানিতে ডুবে বলিউডের সুপারস্টার অভিনেত্রী শ্রীদেবী কাপুর মৃত্যু ঘিরে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে দুবাই পুলিশ বলছে, বাথটাবের পানিতে ডুবেই মারা গেছেন ভারতীয় এই অভিনেত্রী। এছাড়া তার রক্তে অ্যালকোহলের নমুনা পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে দুবাই পুলিশ।

Advertisement

তার মৃত্যু ঘিরে টানা ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে একের পর এক তথ্য গণমাধ্যমে আসছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও ব্রেকিং নিউজ প্রচার করা হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। চলছে এক্সক্লুসিভের ঘনঘটাও। কে কত আগে, কত গভীর ও নিখুঁতভাবে সংবাদ পরিবেশন করতে পারে, চলছে তারই প্রতিযোগিতা।

এই প্রতিযোগিতার মাত্রা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে তা নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতার দৌড়ে ক্রমশ বিকৃতিতে পর্যবসিত হয়েছে সংবাদ পরিবেশন। অন্তত অনলাইন দুনিয়ায় তেমনই সমালোচনা দেখা যাচ্ছে।

এই যেমন শ্রীদেবীর মৃত্যুর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাথটাবে শুয়ে নেটদুনিয়ার খোরাক হলেন এক তেলেগু সাংবাদিক। তেলেগু চ্যানেল মহা-নিউজে কর্মরত তিনি। শ্রীদেবীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রথমে উঠে আসে হার্ট অ্যাটাক তত্ত্ব।

Advertisement

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো প্রথমের দিকে জানায়, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের কারণেই বাথরুমে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই রহস্য নতুন করে মোড় নেয়। জানা যায়, হৃদরোগ নয়, বাথটাবের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে হার্টথ্রব এই অভিনেত্রীর।

এরপরই নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। কীভাবে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে গেলেন, কীভাবে বাথটাবে শ্রীদেবীর মতো উচ্চতার কেউ ডুবে যেতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে। এ পরিস্থিতিতে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। বিভিন্ন চ্যানেলে শুরু হয় তোড়জোড়। কোথাও ক্রোমায় (গ্রাফিক্সের মাধ্যমে) কাল্পনিক বাথটাবে শ্রীদেবীর শুয়ে থাকা দৃশ্যের ছবি। আবার কোথাও রীতিমতো নাট্য রূপায়ণে পুরো ঘটনা তুলে ধরা হয়।

এর মধ্যেই হাস্যকর এক কাজ করে বসেন ওই তেলেগু সাংবাদিক। একটি বাথটাবের উপর উঠে, একেবারে শুয়ে তিনি ব্যাখ্যা করতে থাকেন কীভাবে শ্রীদেবীর মত্যু হয়েছে। দ্রুতই সেই ভিডিও ভাইরাল হয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

অনেকেই ওই সাংবাদিকের সমালোচনা করছেন। বলছেন, একজন সাংবাদিক কী করে এমনভাবে কারো মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেদন করতে পারেন।

Advertisement

Ridiculous. Ludicrous. Insidious: The way Indian Media- especially news TV has reported #sridevideath has been shameful. As a a member of the fraternity, I am embarrassed My piece in @washingtonpost on why I started the hashtag #NewsKiMaut -Death of News https://t.co/TK4npaqK8e

— barkha dutt (@BDUTT) February 27, 2018

এসআইএস/আরআইপি