আইন-আদালত

আলোচনার পর আপিলের সিদ্ধান্ত নেবে দুদক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আলাপ-আলোচনার পর আপিলের সিদ্ধান্ত নেবে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

খালেদা জিয়ার আপিলের পর তার সাজা বাড়িয়ে দুদক আপিল করবে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে দুদকের এই আইনজীবী এ কথা জানান।

খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিলের সিদ্ধান্ত নেবে দুদক। আজ আপিল শুনানির জন্য আমরা মেনশন করেছিলাম। পরে আপিল শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত। আমরা রায়ের কপি সোমবার রাত ৯টায় পেয়েছি। এটি পড়ার পর আলোচনায় বসবে কমিশন। এরপর দুদক সিদ্ধান্ত নেবে।

খালেদা জিয়ার রায় স্ববিরোধী আসামিপক্ষের আইনজীবীদের এমন বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটা ওনাদের ব্যক্তিগত অভিমত। ওনারা যখন আপিল দায়ের করেছেন, আপিল দায়ের করার সঙ্গেসঙ্গে এ আপিলের জুরিসডিকশন কিন্তু হাইকোর্টের। হাইকোর্টে এটি থাকা অবস্থায় এ ধরনের মন্তব্য করা ঠিক না। এ রকম যদি হয়ে থাকে সেটা হাইকোর্ট দেখবেন। ওনি বলার কে?

Advertisement

বিচারকি আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে কি না জানতে চাইলে খুরশীদ আলম বলেন, আদালত যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আমাদের কাছে সেটা মোটামোটি ভালোই মনে হয়েছে। তাছাড়া যেহেতু এখন বিচারাধীন তাই আপিলের ওপর নির্ভর করবে এই পযবেক্ষণ কতটা সঠিক।

সোমবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের অনুলিপি পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আপিলে খালেদা জিয়ার খালাস চাওয়াসহ ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। এতে ৬০ পৃষ্ঠার মূল আবেদনের সঙ্গে এক হাজার ২২৩ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দেয়া হয়েছে।

আপিলের সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনসহ অর্ধ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বৃহস্পতিবার আপিল শুনানি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

এফএইচ/জেডএ/আইআই