পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য ‘জাত হরিজন সনদ’ দেবে স্থানীয় সরকার। জাত হরিজন সনদ দেয়ার কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।
Advertisement
বংশ পরম্পরায় হিন্দু বা সনাতন ধর্মের হরিজনরা এদেশে পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছেন। পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে সরকারি চাকরিতে হরিজনদের অগ্রাধিকার থাকলেও তাদের সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে কোন কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ছিল না। সনদ দেয়ার কাজটি করত হরিজন ঐক্য পরিষদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, পৌরসভা/সিটি করপোরেশনসহ সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে হরিজন সম্প্রদায়কে ‘জাত হরিজন সনদ’ দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তথা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান, পৌরসভার ক্ষেত্রে মেয়র এবং সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিবেচিত হবে।নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে আদেশে।
ব্রিটিশ শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে পূর্ববঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী, চা-বাগানের শ্রমিক, জঙ্গল কাটা, পয়ঃনিষ্কাশন প্রভৃতি কাজের জন্য ভারতের উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, উড়িষ্যা, কুচবিহার, রাচি, মাদ্রাজ ও আসাম থেকে হিন্দি, উড়িষ্যা, দেশওয়ালি ও তেলেগু ভাষাভাষী মানুষের পূর্ব পুরুষদের আনা হয়েছিল। অভাবী এই অভিবাসীরা দেশের সর্বত্র পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং সিলেটে চা-শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।
Advertisement
আরএমএম/ওআর/এমএস