দেশজুড়ে

আরএমপির নতুন ৮ থানার কার্যক্রম শুরু ১ মার্চ

আগামী ১ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) পুনর্গঠিত ৮টি থানা। এর আগে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর জনসভা থেকে থানাগুলোর উদ্বোধন করবেন। 

Advertisement

বুধবার সকালে আরএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নতুন থানাগুলোর জন্য এরই মধ্যে ভবন ভাড়া করা হয়েছে। জনবল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ২৮ তারিখের মধ্যে থানাগুলোতে জনবল গিয়ে পৌঁছাবে। মার্চের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে কার্যক্রম।

পুলিশ কমিশনার জানান, আরএমপির চার থানা পুনর্গঠন করে এ ৮ থানা করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা পুলিশের পবা থানা মহানগর পুলিশের ভেতরে এসেছে। এ নিয়ে আরএমপির থানার সংখ্যা দাঁড়াবে ১২টি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।

রাজপাড়া, বোয়ালিয়া, শাহমখদুম ও মতিহার থানা নিয়ে ১৯৯২ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় আরএমপি। এখন আরএমপির আয়তন ২০৩ বর্গ কিলোমিটার। নতুন থানাগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে এর পরিধি প্রায় চারগুণ বেড়ে হবে ৯০০ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে দিয়ে পুলিশি সেবা জনগণের নাগালে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বোয়ালিয়া মডেল থানার এলাকা ভেঙে হচ্ছে চন্দ্রিমা থানা। রাজপাড়া থেকে হচ্ছে কাশিয়াডাঙ্গা থানা। আর মতিহার থানা থেকে কাটাখালি ও বেলপুকুর এবং শাহমখদুম থানা থেকে হচ্ছে বিমানবন্দর থানা। এছাড়া জেলা পুলিশের পবা থানা থেকে হচ্ছে কর্ণহার ও দামকুড়া থানা। পবা উপজেলার এ নতুন দুটি থানা থাকবে মহানগর পুলিশের আওতায়। একইভাবে পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানাও থাকবে মহানগরের অধীনে।

প্রতিষ্ঠার পর আরএমপি রাজপাড়া ও মতিহার জোনে পরিচালিত হয়েছে। তবে নতুন থানা হওয়ায় জোনের সংখ্যাও বৃদ্ধি করে চারটি করা হয়েছে। এখনকার রাজপাড়া জোন আগামী ১ মার্চ থেকে থাকবে বোয়ালিয়া ও কাশিয়াডাঙ্গা জোনে। আর মতিহার জোন থাকবে মতিহার এবং শাহমখদুম জোনে। এখনকার দুজনের জায়গায় এবার চারজন উপ-কমিশনার এসব এলাকার দায়িত্বে থাকবেন।

আরএমপি কমিশনার জানান, এখন সদর দফতর, দুটি অপরাধ বিভাগ, সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগ নিয়ে কাজ করছে আরএমপি। এখন আরএমপির রয়েছে ১২টি ফাঁড়ি ও তিনটি পুলিশ বক্স। নতুন থানাগুলোর কার্যক্রম শুরুর পর পুলিশ ফাঁড়ি ও বক্সগুলো যে মৌজায় পড়বে সে থানার আওতায় পরিচালিত হবে। নতুন মামলা হবে নতুন থানায়। আর পুরনোগুলোর ঘটনাস্থলের মৌজা দেখে দেখে ধীরে ধীরে নতুন থানায় পাঠানো হবে।

পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, আরএমপি প্রতিষ্ঠার পর শহরের পরিধি বেড়েছে অনেক। এখন চার থানাকে পুরো শহর সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। প্রয়োজনের তাগিদেই নতুন থানা হচ্ছে। এগুলোর কার্যক্রম শুরুর পর রাজশাহীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভূতপূর্ব উন্নতি হবে। নতুন থানাগুলো করা বর্তমান সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, উপ-কমিশনার তানভীর হায়দার চৌধুরী, আমীর জাফর, সাজিদ হোসেন, হেমায়েতুল ইসলাম ও মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম প্রমুখ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/আইআই