এবার হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা জারিতে ছয় মাসের প্রাণ পেল মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরের আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় তিন হাজার গাছ। এ সড়ক প্রশস্ত করার জন্য চার হাজার গাছের মধ্যে ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
Advertisement
এসব গাছ কাটার ওপর মঙ্গলবার ছয় মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে গাছ কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ভিন্ন উপায়ে সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে মঙ্গলবার রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, রোড ও হাইওয়ের প্রধান প্রকৌশলী, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
Advertisement
এর আগে যশোর রোডকে চার লেনে উন্নীত করতে গিয়ে সেখানে থাকা শতবর্ষী গাছ কাটার ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গত ১৮ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মানিকগঞ্জের গাছ কাটা নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কাটা হচ্ছ চার হাজার গাছ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে মানিকগঞ্জের বারের সদস্য মনজুরুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটকারীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত করতে প্রায় চার হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সহস্রাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এসব নিয়ে আদালতে গেলে আদালত শুনানি নিয়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
তিনি পত্রিকার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, ওই মহাসড়ক প্রশস্ত করতে গত বছরের ৬ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী, তিন হাজার ৭২৫টি গাছ ২৮টি গুচ্ছে বিক্রি করা হয়। সর্বোচ্চ দর এক কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৯ টাকায় গাছগুলো বিক্রি করা হয়।
Advertisement
উল্লেখ্য, ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার জরিনা কলেজ মোড় পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার এ আঞ্চলিক মহাসড়ক ১৭ ফুট চওড়া। এটি প্রশস্ত করে ২৪ ফুটে উন্নীত করা হবে।
এফএইচ/জেডএ/আইআই