খেলোয়াড়দের আনন্দে সমর্থকরা হাততালি দেন, ব্যর্থতায় গালি দিতেও ছাড়েন না। খেলার প্রতি মনোযোগ নেই, আবেগ নেই, ঠিকমতো খেলেন না- এমন কত শত অভিযোগ তুলেন তারা। দলের ব্যর্থতায় সমর্থকদের মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক, তবে মাঠে যারা খেলেন; তাদেরও যে মনের মধ্যে কত কষ্ট চাপা দিয়ে বাঁচতে হয়, তার খবর রাখেন না কেউ।
Advertisement
এক একটি ব্যর্থতায় ড্রেসিংরুমের ভেতরের অবস্থা কি থাকে, সেটা শুধু খেলোয়াড়রাই বলতে পারবেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার অ্যালেক্সিজ সানচেজ তুলে এনেছেন এমনই একটি ঘটনা। বিশ্ব ফুটবলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি যেদিন কেঁদেছিলেন।
২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে প্রথম লেগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল চেলসি। ঘরের মাঠ নু্য ক্যাম্পে দ্বিতীয় লেগে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর ২-২ সমতায় শেষ করে বার্সা। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-৩ গোলে হেরে যায় তারা।
দ্বিতীয় লেগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একদম অন্তিম মুহূর্তে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। সেই সময় পেনাল্টি মিস করে বসেন দলটির প্রাণভোমরা মেসি।
Advertisement
ওই সময় বার্সেলোনাতেই ছিলেন সানচেজ। ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে বসে মেসি কেঁদেছিলেন, এতদিন পর সেই খবরটি প্রকাশ করলেন তিনি, 'খেলায় হেরে মানুষ কাঁদে। এটা ফুটবলেরই অংশ। চেলসি ম্যাচের পর বার্সেলোনার ড্রেসিংরুমে আমি মেসিকে কাঁদতে দেখেছি। এর কারণ খেলোয়াড়দের নিজেদের কাছে অনেক প্রত্যাশা থাকে। মানুষ সেটা দেখতে পায় না।'
সেই চেলসির বিপক্ষেই চ্যাম্পিয়ন্স রিগে আরেকটি লড়াইয়ের অপেক্ষায় বার্সেলোনা। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।
এমএমআর/এমএস
Advertisement