আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় দেয়াকে কেন্দ্র করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার আশঙ্কায় জেলায় জেলায় গ্রেফতার ও আটক অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। আর এ আটকদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি নেতাকর্মী। বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছেন জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধিরা।
Advertisement
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মানিকগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপির ১১ নেতা-কর্মী আটক হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর মধ্যে দুইজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
হবিগঞ্জ জেলা জাসদ সভাপতিসহ বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাহবুব উদ্দিন।
Advertisement
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৪ জন জামায়ত ও বিএনপি নেতাকর্মীসহ ৬৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার ৮টি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার উপ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, সদর থানায় ৩০ জন, কলারোয়া থানায় ৭ জন, তালা থানায় ৪ জন, কালিগঞ্জ থানায় ৫ জন, শ্যামনগর থানয় ১১ জন, আশাশুনি থানায় ৪ জন, দেবহাটা থানায় ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নওগাঁয় বিএনপি-জামায়াতের ৫৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। এরমধ্যে বিএনপির ৩৪ জন এবং জামায়াতের ২১ জন।
এদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শামিম রেজা, মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান, রানীনগর উপজেলা জামায়াতের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. আনজির হোসেন, জামায়াতের ফিরোজ হোসেন ও একডালা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাহার আলী রয়েছেন।
Advertisement
এছাড়া ঝিনাইদহে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলাব্যাপী এ অভিযানে গ্রেফতারদের মধ্যে জামায়াত ও বিএনপির ৪৬ জন নেতাকর্মী রয়েছেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, রাতভর জেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতাবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এসময় সদর থেকে ১২টি ককটেলসহ জামায়াত-বিএনপির ১০ জন, শৈলকুপা থেকে ১১ জন বিএনপি, হরিণাকুন্ডু থেকে ৮ বিএনপি-জামায়াত, কালীগঞ্জ থেকে ২ বিএনপি এক জামায়াত, কোটচাঁদপুর থেকে ১০টি ককটেলসহ ৭ জামায়াত ও মহেশপুর থেকে ৭ জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পিরোজপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া জয়পুরহাটের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও শিবিরের ২০ নেতাকর্মীসহ ৩৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতভর এসব অভিযান চালায় পুলিশ।
এদিকে সিলেটে পুলিশের নাশকতাবিরোধী অভিযানে গত ৭২ ঘণ্টায় ৬১ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত সিলেট জেলা পুলিশের সাঁড়াশি বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
এফএ/আরআইপি