অর্থনীতি

ডিএসইর শেয়ারের দাম ২২ টাকা

 

একাধিকবার সময় বাড়ানোর পর অবশেষে কৌশলগত বিনিয়োগকারী পেতে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়ামের কাছে ২২ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করতে যাচ্ছে দেশের প্রধান এ শেয়ারবাজারটির কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ডিএসইর আগামী পর্ষদ সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে ডিএসইর শেয়ার কিনতে দুটি কনসোর্টিয়াম টেন্ডারে অংশ নেয়। এর মধ্যে একটি হলো সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়ামের এবং অন্যটি হলো ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফন্ট ইয়ার বাংলাদেশ ও নাসডাক।

সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এজন্য কনসোর্টিয়ামটি ডিএসইর প্রতিটি শেয়ারের দাম দিতে চেয়েছে ২২ টাকা। পাশাপাশি ডিএসইকে ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কারিগরি সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম।

Advertisement

আর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফন্ট ইয়ার বাংলাদেশ ও নাসডাক কনসোর্টিয়াম ডিএসইর ২৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এজন্য কনসোর্টিয়ামটি ডিএসইর প্রতিটি শেয়ারের দাম দিতে চেয়েছে ১৫। পাশাপাশি কারিগরি সহায়তা দেয়ার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

তবে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফন্ট ইয়ার বাংলাদেশ ও নাসডাক কনসোর্টিয়াম ডিএসইকে কি পরিমাণ কারিগরি সহায়তা দেবে, সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য টেন্ডারে উল্লেখ করেনি।

এদিকে শেয়ারের দাম কম দিতে চাওয়ায় এবং অন্যদিকে কারিগরি সহায়তার বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য না দেয়ায় ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ফন্ট ইয়ার বাংলাদেশ ও নাসডাক কনসোর্টিয়াম কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে নিতে রাজি হয়নি ডিএসই।

আর টেন্ডারে অন্য কোনো অংশগ্রহণকারী না থাকায় সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়ামের কাছে ২২ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করতে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। এখন বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে এই কনসোর্টিয়ামকে ডিএসইর শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে।

Advertisement

এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী জাগো নিউজকে বলেন, ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম শেয়ারের সর্বোচ্চ দর দিয়েছে। তবে তাদেরকেই কৌশলগত বিনিয়োগকারী করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। যেহেতু তারা সর্বোচ্চ দর দিয়েছে, সুতরাং তাদের সার্বিক প্রস্তাব পর্যালোচনা করে আগামী পর্ষদ সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এরপর বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হবে।

২০১৩ সালের স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন (মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণ) আইনে ২০১৬ সালের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে স্টক এক্সচেঞ্জের সংরক্ষিত ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই’র বাধ্যবাধকতা ছিল। আইন অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে বিক্রির সময় বেঁধে দেয় বিএসইসি। ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বরের এক বছর সময় শেষ হয়। তবে ওই সময়ের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয় ডিএসই। এরপর ডিএসইর আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও তিন দফা সময় বাড়ায় বিএসইসি।

এমএএস/এমআরএম