রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা ও ছাত্রদলের দুইকর্মীসহ তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
Advertisement
মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রহিদুল ইসলাম ও এসআই চম্পক বাদি হয়ে শাগবাগ থানা পৃথক দুটি এবং রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ রমনা থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলা দুইটিতে সরকারি কাজে বাধা দান, পুলিশের ওপর হামলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নসহ বেশ কয়েকটি ধারা জুড়ে দেয়া হয়েছে।
দায়ের করা উভয় মামলার এজাহারে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটশ’ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্ট সংলগ্ন মাজার গেটের সামনে পুলিশের প্রিজনভ্যান ভেঙে তিন নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিএনপি কর্মীরা। এ সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট এলাকায় দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা ওবায়দুল হক নাসির (৪০), সোহাগ মজুমদার (৩৮) ও মিলন (৩৮) নামের তিনজনকে আটক করে প্রিজনভ্যানে রাখে পুলিশ।
হাজিরা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বাসায় ফেরত যাওয়ার পথে একদল বিএনপিকর্মী ওই প্রিজনভ্যানে ভাঙচুর চালিয়ে আটক নেতাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
এছাড়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামকেও তার শান্তিনগরের বাসা থেকে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এআর/আরএস/জেআইএম