১ থেকে ৫০ পর্যন্ত লিখতে দিয়েছিল অঙ্কের স্যার। পরান ও আরমান পুরো লিখতে পেরেছে। আমি ১ থেকে ৩০ পর্যন্ত লিখেছি। পুরো লিখতে না পারায় সহপাঠী পরানের পা ও আরমানের জুতা ধুয়ে আমাকে সেই পানি খাওয়ায় অংকের স্যার। খেতে না চাইলে চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়।
Advertisement
এভাবে কথাগুলো জানায়, ঝালকাঠির বিকনা নুরানী মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. নাসরুল্লাহ। শনিবার মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নাসরুল্লাহ জানায়, ওদিন বিকেলে বাসায় এসে পড়া পারিনি এ জন্য স্যার এ শাস্তি দিয়েছে বললে মা মারবেন তাই বিষয়টি জানাইনি। মো. নাসরুল্লাহ পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে।
নাসরুল্লাহ আরও জানায়, শুধু তাকেই নয়, তানজির, আফ্রিদি, রিফাত, সাইদসহ তার ক্লাসের আরও কয়েকজনকে এমন শাস্তি দেয়া হয়েছে। লিখতে না পারায় তাদেরকেও পরান ও আরমানের জুতা ও পা ধোয়া পানি খেতে হয়।
Advertisement
নাসরুল্লাহ’র মা শাহিদা বেগম জানান, শনিবার বিকেল থেকেই নাসরুল্লাহর পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছে। ভাবছিলাম খাবারে ত্রুটির কারণে এমন হতে পারে। সোমবার সকালে প্রতিবেশী আরেক ছাত্রের মা এসে আমাদের এ কথা জানায়। আমি নাসরুল্লাহকে বিকেলে সদর হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছি।
স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনা জানাজানি হলে কয়েকজন অভিভাবক উত্তেজিত হয়ে ময়লা মাখা ঝাড়ু নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ওই শিক্ষক আত্মগোপন করে। পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তারা চলে আসে।
এ ব্যাপারে জানতে মাদরাসার প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে কল দিলে প্রতিবেদক পরিচয় জেনে তিনি বলেন, আমি গাড়িতে কিছু শুনতে পাচ্ছি না। গাড়ি থেকে নেমে আপনাকে কল দেব। পরে আবার কল দিলে ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
মো. আতিকুর রহমান/এএম/এমএস
Advertisement