দেশজুড়ে

ই-নথিতে পঞ্চম পাহাড়ি জনপদ মানিকছড়ি

রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সচিবালয় থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক দফতরেই ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে চলছে দাফতরিক কাজ। স্বল্প সময়ের মধ্যে জনগণের দোরগোড়ায় সব ধরনের সেবা পৌঁছে দিতে ই-নথি বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।

Advertisement

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সচিবালয় ছাড়িয়ে তৃণমূলেও চলছে নানাবিধ কার্যক্রম। আর এ কার্যক্রমে পিছিয়ে নেই দুর্গম পাহাড়ি জনপদ। পার্বত্য জনপদ খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম চলছে ই-নথিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য জনপদ মানিকছড়িকে ডিজিটালের আওতায় আনতে কাজ করছে প্রশাসন। গেল সেপ্টেম্বর মাসে মো. আহসান উদ্দিন মুরাদ মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর মানিকছড়ির অফিসপাড়ায় ডিজিটালের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে।

তারই ধারাবাহিকতায় গেল বছরের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে একটি বিশেষ সফ্টওয়ারের মাধ্যমে শুরু হয় ই-নথিতে ফাইল-পত্র আদান-প্রদান। শুরুতে ৪৯০তম অবস্থানে থেকে ই-নথিতে কার্যক্রম শুরু করে মানিকছড়ি উপজেলা। মাত্র একমাসের ব্যবধানে ই-নথি কার্যক্রম বাস্তবায়নে পঞ্চমে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেছে পাহাড়ি জনপদ মানিকছড়ি।

Advertisement

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে সারাদেশে ই-নথি বাস্তবায়ন শুরুর দু'বছরের মধ্যে এই প্রথম ইন্টারনেট সংযোগে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য জনপদের কোনো উপজেলা শীর্ষ পাঁচ এ স্থান পেল। এ প্রাপ্তিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে বড় ধরনের সাফল্য হিসেবেই দেখছেন মানিকছড়ির জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সুশীল সমাজ।

এ বিষয়ে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান উদ্দিন মুরাদ বলেন, বর্তমানে এ উপজেলার প্রায় শতভাগ কাজ পেপারলেস ই-নথিতে সম্পন্ন হচ্ছে। এছাড়াও সহযোগিতার জন্য তিনি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদেরও ধন্যবাদ জানান।

অচিরেই উপজেলার সকল অফিসে এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেপারলেস ডিজিটাল অফিসে রূপান্তর হবে মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদ।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এফএ/জেআইএম

Advertisement