জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি ) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসি এবং দুইজনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজার রায় পাওয়া ছয় আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচজন হলেন খন্দকার আশিকুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, মাহবুব আকরাম ও খান মোহাম্মদ রইস।
Advertisement
আর যাবজ্জীবন বহাল থাকা দুজন হলেন ইশতিয়াক মেহবুব ও নাজমুস সাকিব। খালাস পাওয়া চারজন হলেন মাজহারুল ইসলাম, শফিউল আলম, কামরুজ্জামান ও অভিনন্দন কুণ্ডু। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের মধ্যে পলাতক ইশতিয়াক মেহবুব ছাড়া অপর পাঁচজন আপিল করেছিলেন।
আসামিরা সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রায় বহাল রেখেন।
Advertisement
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিরমল কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ জানুয়ারি জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। ওইদিন রায়ের জন্য ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়। ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কর্মী জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে তারই সংগঠনের একটি পক্ষ। পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতেই তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই ৯ জানুয়ারি ভোরে মারা যান জুবায়ের। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
Advertisement
এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি