ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনের স্থগিতাদেশের বিষয়ে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
Advertisement
বুধবার এ উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণের বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে ৩ মাসের স্থগিতাদেশ দেয়ার পর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একথা জানান ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের থেকে হাইকোর্টের স্থগিতের বিষয়টি জানতে পারলাম। রায়ের কপি হাতে পেলে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, আইন ঘেঁটেই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তফসিলে আইনি কোনো কমতি ছিল বলে নির্বাচন কমিশনের মনে হয়নি। সব প্রস্তুতি নিয়েই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Advertisement
আদালতের আদেশের পর ডিএনসিসি’র সব ধরনের নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালত থেকে লিখিত আদেশ পেয়ে কমিশন আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবে। আশা করি আজ বিকেলের মধ্য রায়ের কপি পাওয়া যাবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, এ পর্যন্ত মেয়র পদে ১৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১২ জন ও সংরক্ষিত পদের জন্য ৭১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মেয়র পদের কেউ এখনো মনোনয়ন জমা দেননি। মাত্র দু’জন সাধারণ কাউন্সিলর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। পরবর্তীতে তফসিল একই থাকবে শুধু ভোটগ্রহণের তারিখটি পেছাবে। যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন, তাদের নতুন করে আর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে হবে না।
তিনি বলেন, স্থগিতাদেশ শুধু উত্তর সিটির। দক্ষিণের নির্বাচন কার্যক্রম চলবেই। এতে কোনো বাধা নেই।
Advertisement
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ না করাসহ বেশ কয়েকটি কারণে আদালতে এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে রিট করেন উত্তর সিটির একজন ভোটার। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ৩ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন।
এইচএস/এআর/এমবিআর/পিআর