আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরই ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হয়ে যাবে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। বুধবার জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচটিই হবে এ ভেনুতে শততম ওয়ানডে। ১০০ ওয়ানডে হওয়া অন্য পাঁচ ভেনুর মধ্যে তালিকায় সবচেয়ে দ্রুততম মিরপুরই।
Advertisement
১১ বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে শততম ওয়ানডে আয়োজন করতে যাচ্ছে মিরপুর। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে এ ভেনু কতটা জড়িত। তবে এমন একটি উপলক্ষকে রাঙিয়ে রাখার কোনো পরিকল্পনাই হাতে নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর পরও এ ম্যাচকে ঘিরে আলাদা কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।
অনেক কারণেই মিরপুরের এ ভেনুটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারানো, ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা, ২০১৫ সালে ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়সহ স্মরণীয় অনেক জয় আছে মিরপুরে। ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের ভেনুও ছিল এ মিরপুর।
এ ভেনুর শততম ওয়ানডের সাক্ষী হতে পেরে রোমাঞ্চিত শ্রীলঙ্কা আর জিম্বাবুয়ে দুই দলই। ২০১৪ সালে মিরপুরেই এশিয়া কাপ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ বলেন, 'মিরপুর শ্রীলঙ্কাকে অনেক আনন্দের উপলক্ষ্ দিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালে আমরা ঢাকায় বেশ ভালো করেছিলাম। তবে সেটা এখন ইতিহাস। আমাদের দলটাও বদলে গেছে। আমাদের কিছু ভালো স্মৃতি আছে এখানে, সামনে আরও ভালো কিছুর অপেক্ষায় আছি।'
Advertisement
ইতিহাসের সঙ্গী হতে পেরে খুশি হ্যামিল্টন মাসাকাদজাও। জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের মনে আছে, মিরপুরের প্রথম ম্যাচটিও খেলেছিলেন তিনি, 'ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হতে পারার অনুভূতি দারুণ। আমরা এখানে প্রথম ম্যাচটিও খেলেছিলাম। তাই ইতিহাসের অংশ হতে পারা দারুণ ব্যাপার।'
এমএমআর/এমএস