হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশ দলের কোচ কে হবেন এ নিয়ে জ্বল্পনা-কল্পনা ছিল কিছুদিন। কয়েকজন বিদেশির ইন্টারভিউও নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ওই সময়ই জানা গিয়েছিল ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ স্থানীয় কোচ দিয়ে চালিয়ে নেয়া হবে। তখন থেকেই দীর্ঘদিন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ সুজনের সম্ভাবনা উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছিল।
Advertisement
তবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে ভারপ্রাপ্ত কোচই নয়, আরও বেশি ক্ষমতা দিয়ে বানিয়ে দেয়া হয়েছে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। নিজে কোচের ভূমিকায় তো পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করবেনই, সঙ্গে অন্য কোচদেরও পরিচালনা করবেন এবং কাজ বুঝে নেবেন। জাতীয় দলের টেকনিক্যাল বিষয়টা পুরোপুরিই দেখভাল করবেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
তবে বিসিবি সভাপতি শুধু খালেদ মাহমুদ সুজনের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েই বসে থাকলেন না। নিজের কার্যালয়ে ডেকে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান এবং মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। দীর্ঘসময় তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন এরপর সংবাদ মাধ্যমের সামনেই জানিয়ে দিলেন, ত্রিদেশীয় সিরিজে কোচের ভূমিকা পালন করবেন সাকিব-মাশরাফিও।
দলের সবচেয়ে সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটারের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে যেন কিছুটা নির্ভার বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। শুধু কোচের দায়িত্বই নয়, ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগেরদিন, অর্থাৎ আজ (রোববার) মিডিয়ার সামনে এসে অধিনায়ককে পাশে বসিয়ে দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়ে দিয়েছেন, সিনিয়র ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। মাঠে তারা নিজেদের মতো করেই দল পরিচালনা করবে এবং নিজেরা পারফর্ম করে ফল বের করে নিয়ে আসবে।
Advertisement
বাংলাদেশ দলে পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার একসঙ্গে খেলছেন দীর্ঘদিন ধরে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন এখন এ পাঁচ ক্রিকেটার। তারা জানে দলের জন্য কখন কী করতে হবে। এ বিশ্বাস থেকেই সিনিয়রদের ওপর সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ছেড়ে দেয়ার কথা জানালেন খালেদ মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর অনেক কিছুই ছেড়ে দিয়েছি। তারা জানে কখন কি করতে হবে। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদরা অনেক পরিণত ও অভিজ্ঞ। বিভিন্ন দলের বিপক্ষে তামিম নিয়মিত রান করছেন। সাকিব বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার ও কার্যকর ক্রিকেটার। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা মুশফিক নির্ভরতার প্রতীক। মাহমুদউল্লাহ বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেঞ্চুরিয়ান। কাজেই তাদের মেধা, প্রজ্ঞা নিয়ে সংশয় থাকার প্রশ্নই ওঠে না, তারাই দলের নিউক্লিয়াস। তাদের উপর অযথা চাপ প্রয়োগ করা প্রশ্নই ওঠে না। তারা কর্তব্য ও দায়িত্ববোধ সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন, তাই আমরা তাদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দিয়েছি।’
মাশরাফিও সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, অন্য অনেক সময়ের তুলনায় এ মুহূর্তে ড্রেসিংরুমে অনেক বেশি নির্ভার তারা। তাদের ওপর কারো খবরদারি নেই। ভালোমন্দ নিজেরাই চিন্তা করতে পারছে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের বিশ্বাস, এমন নির্ভার এবং চাপমুক্ত থেকেই সাফল্য বয়ে নিয়ে আসতে পারবে দলের ক্রিকেটাররা।
এআরবি/আইএইচএস/আইআই
Advertisement