অর্থনীতি

ডিএসইতে সূচক কমেছে

টানা দুই সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বিগত সপ্তাহে (৭ থেকে ১১ জানুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে বেড়েছে মোট ও দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ।

Advertisement

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২৩ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ৫৮ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৩ শতাংশ।

অপর দুটি সূচকের মধ্যে শেষ সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ৪১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ১১ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৩ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১৬ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ১৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ।

Advertisement

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ৩৩৮টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৭৮টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ২৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দাম।

মূল্যসূচকের বড় পতনের মধ্যেও শেষ সপ্তাহে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫১৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

গড় লেনদেনের পাশাপাশি মোট লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ২৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ৭৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে ১৫৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন বেড়েছে।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৬ দশমিক ৫৬ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার।

Advertisement

এদিকে গত সপ্তাহে মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৫১ কোটি টাকা।

এ সময়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোস লিমিটেডের শেয়ার। গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির মোট ৯৬ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ৭২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৭০ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ন্যাশনাল টিউবস, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, ড্রাগন সোয়েটার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সিটি ব্যাংক, আলিম ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ব্রাক ব্যাংক।

এমএএস/এমএমজেড/পিআর