পঞ্চগড়ে গত দুই দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও হাড় কাঁপানো শীত কমেনি। গত সোমবার দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কডের পর বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭। তবে শুক্রবার সকালে আবারও ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে সর্বনিম্ন ৭ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
Advertisement
টানা ৮ দিনের শৈত্যপ্রবাহে তেঁতুলিয়া উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার জনজীবনে অচলাবস্থা কাটেনি। বিশেষ করে রিকশা-ভ্যানচালক আর দিনমুজুরের আয় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করতে পারছেন না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাতে ছিন্নমূল মানুষ ঠিকমত ঘুমাতে পারছেন না। ভোর হতে না হতেই তারা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কয়েক দিন ধরে দিনরাত শহরের বিভিন্ন মোড় এবং পাড়া মহল্লায় খরকুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা গ্রহণের দৃশ্য দেখা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে শীতে দুর্ভোগের ছবি তোলার সময় কথা হয় জেলা শহরের তেঁতুলিয়া রোডের ইসলামবাগ মহল্লার অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী নয়নের সঙ্গে।
তিনি বলেন, এবারের শীত সারা জীবন মনে থাকবে। এমন শীত অতীতে অনুভব করেছি বলে মনে পড়ে না। দুপুর ২টা বাজে এখনও সূর্যের দেখা নেই। কয়েকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।
Advertisement
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. জাকির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়া এবং এর আশপাশ এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭। তবে শুক্রবার সকালে আবারও ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে সর্বনিম্ন ৭ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সফিকুল আলম/আরএআর/আইআই