এ শীতোত ঘর থাকি বেড়ায় যায় না। যে শীত, কায় কাজ দিবে কন? আজ তিন দিন কাজোত (কাজ) যাংনাই (যাইনি)। কয়টা টাকা ছিল তাও শ্যাষ (শেষ)। বউ ছাওয়া (বাচ্ছা) নিয়া কষ্টে আছি। এভাবেই বলছিলেন, লালমনিরহাট হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তিস্তা পারের দোয়ানী গ্রামের দিনমজুর কাদের মিয়া (৪৫)।
Advertisement
শনিবার বিকেলে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সাধুর বাজার, নিজ গড্ডিমারী, তালেবমোড়, দোয়ানী, ছয়আনী, এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ কাজকর্ম না পেয়ে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে তিস্তাপারের হতদরিদ্র মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
শীতের কারণে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ কাজ কর্ম না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তিস্তাপারের জনজীবন বিপর্ষস্ত হয়ে পড়েছে।
রেলস্টেশনসহ জেলার বিভিন্নস্থানে অবস্থানকারী ছিন্নমূল মানুষগুলোকে শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। শীতার্ত মানুষগুলো এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য তাকিয়ে আছেন বিত্তবানদের দিকে।
Advertisement
গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেব মোড় এলাকার ভ্যানচালক হোসেন আলী বলেন, সকাল থেকে বসে আছি কোনো ভাড়া পাইনি। এ শীতে কেউ ভ্যানে উঠতে চায় না। তাই ভ্যান নিয়ে বসে আছি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শীতবস্ত্রের চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব শীতবস্ত্র এলে তা দ্রুত বিতরণ করা হবে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, তিস্তাপারের বেশির ভাগ মানুষ এ শীতে কষ্টে আছেন। দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য শীতবস্ত্র চেয়ে উপজেলা পর্যায়ে আবেদন করেছি।
রবিউল হাসান/এমএএস/পিআর
Advertisement