শীতের সকাল মানেই লেপ বা কম্বলের উষ্ণতায় নিজেকে আরেকটু বেশি সময় ধরে রাখা। এমন আরাম রেখে কে-ই বা উঠতে চায়! কিন্তু নাগরিক এই ব্যস্ততার জীবনে এতটুকু বিলাসিতা করার উপায় কোথায়! আপনি চান বা না চান, প্রতিদিন খুব ভোরেই জাগতে হবে! আর এই নিয়েই যত গড়িমসি। খুব ভোরে যেহেতু উঠতেই হবে, তাই শিখে নিতে হবে কিভাবে ভোরবেলা চোখ থেকে ঘুম তাড়াবেন!
Advertisement
আরও পড়ুন : শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন যে কারণে
ভোরে উঠতে হবে বলে চাপ নেয়া মোটেই উচিত নয়। বিষয়টি অন্যভাবেও ভাবা যায়। যেমন সকালে না উঠলেও মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। নিজেকে টেনশন ফ্রি রাখুন।
সারাদিন যদি কাজের মধ্যে থাকেন, ক্লান্তিতে ঘুম আসা অনিবার্য। আগে আগে ঘুমিয়ে পড়লে আগেই ঘুম ভাঙবে। আর হ্যাঁ, রাতে সোস্যাল সাইটকে একদমই ‘না’ বলে দিন।
Advertisement
রাতে বই পড়ার অভ্যেস থাকলে ভালো। পড়তে পড়তে ভালো ঘুম হয়। বই পড়ার মাঝেই চোখ আপনাআপনি বুজে যাবে।
তবে রাতের দিকে ফোন করা বা ফোন রিসিভ করা থেকে বিরত থাকুন। দরকার হলে, ফোন বন্ধ রেখেই ঘুমোতে যান।
পরের দিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ের লক্ষ্য নিয়ে ঘুমাতে যান। লক্ষ্য স্থির থাকলে সূর্যের আলো ফোটার আগেই আপনি বিছানা ছাড়বেন নিশ্চিত।
অনেকেই অ্যালার্ম দিয়ে থাকেন। কিন্তু অধিকাংশ লোকই অ্যালার্ম বাজার পর তা বন্ধ করে দেন। তাই ফোনে বা ঘড়িতে অ্যালার্ম দিলে তা দূরে রাখুন।
Advertisement
সকালে শরীরচর্চার জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ঘুমাতে যান। পারলে সঙ্গী নির্বাচন করুন। শরীরচর্চার প্রতি আকর্ষণে সঠিক সময়ে ঘুম ভাঙবে।
আরও পড়ুন : কম ঘুমের কারণে যেসব ক্ষতি হয়
সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করেন অনেকে। অধিক পানি পান আবার বিড়ম্বনাও তৈরি করে। কারণ রাতে বারবার প্রসাবের জন্য বিছানা ছাড়তে হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে সকালে ওঠাও মুশকিল হয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর থেকে পানি পানের মাত্রা কমিয়ে দিন।
এইচএন/আরআইপি