গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম খামার দশলিয়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া আরও দুই আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে নলডাঙ্গায় শনিবার অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ও ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম খামার দশলিয়া গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীর (১৩) বাবা এক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি সংলগ্ন নলডাঙ্গা বাজারে মায়ের সঙ্গে পোশাক কিনতে যায় ওই স্কুলছাত্রী। পোশাক কেনা শেষে ছাত্রীর মা তার বাবার বাড়িতে যান ও মেয়েকে বাড়িতে যেতে বলেন। পরে মেয়েটি নলডাঙ্গা রেলগেট পার হয়ে বাড়িতে যাচ্ছিল।
Advertisement
বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় দশলিয়া গ্রামের ওয়াদুদ ইসলাম দুদুর ছেলে সোহাগ মিয়া (২১), পশ্চিম খামার দশলিয়া গ্রামের মাহফুজার রহমানের ছেলে বাবু মিয়া (২২), একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২১), আমজাদ হোসেনের ছেলে রুবেল মিয়া ও আজিজল ইসলামের ছেলে খুশু মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে পাশের একটি আখখেতে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করে তারা। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি স্কুলছাত্রীর কান্নার শব্দ শুনে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা রাত ৯টার দিকে সোহাগ মিয়া, বাবু মিয়া ও শরিফুল ইসলামকে নলডাঙ্গা বাজার থেকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নলডাঙ্গায় অর্ধদিবস হরতাল পালন করে। এ সময় দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
Advertisement
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, সোহাগ মিয়া, বাবু মিয়া, শরিফুল ইসলাম, রুবেল মিয়া ও খুশু মিয়া বখাটে ছেলে। স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় নলডাঙ্গায় শনিবার অর্ধদিবস হরতাল পালন করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ধর্ষণের ঘটনায় রুবেল মিয়া ও খুশু মিয়া নামের আরও দুইজন পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, নলডাঙ্গায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রওশন আলম পাপুল/এএম/জেআইএম