কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়কে নানা ধরনের চাপে রেখেও সঠিক পথে আনা সম্ভব হয়নি। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এমন কথা বলেন। তিনি বলেন, যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও মুনাফার লক্ষ্যে চলতে চায়, নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হচ্ছে না এবং অবৈধ ক্যাম্পাসে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এখন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
ব্যবসা ও মুনাফার চিন্তা পরিত্যাগ করে জনকল্যাণ ও সেবার মনোভাব নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে দায়িত্বশীল দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কর্তৃপক্ষ যেন দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন-ফিসহ সকল ব্যয় একটি সীমারেখা পর্যন্ত রাখতে উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবেন।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজ যারা গ্রাজুয়েট হলেন তারা দেশ ও জাতির ভবিষ্যত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। তাদের জীবনের একটি অধ্যায় শেষ হলো, আরও একটি অধ্যায়ের সূচনা হলো- তা হলো কর্মজীবন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আইনের মধ্যে থেকে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এর বাইরে গিয়ে কেউ প্রতিষ্ঠান চালাতে পারবে না। বিশেষ অতিথি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ঠা আকবর আলী খান বলেন, আজ যার গ্রাজুয়েট হচ্ছেন নতুনভাবে তাদের জীবন চলা শুরু হলো। সমাবর্তনের মাধ্যমে তাদের জীবনের সাধনা শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, যোগ্যতার মাধ্যমে আমাদের দুনিয়ায় আমাদের টিকে থাকতে হবে। এর হাতিয়ার আজকের গ্রাজুয়েটরা। আপনাদের চেষ্টায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পরিবর্তনের কথা চিন্তা করতে হবে, আমাদের সমাজ পরিবর্তনের কথা চিন্তা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা আজ যে সনদ পেলো সেটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের এগিয়ে যেতে হবে।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পঞ্চম সমাবর্তনে মোট এক হাজার ৬১১ জনকে গ্রাজুয়েট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে চ্যান্সেলর পদক দু’জন, ভাইস-চ্যান্সেলর পদক সাতজন এবং তিনজনকে ডীন অ্যাওয়ার্ডস পদক দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র চেয়ারম্যান ডা. মুহাম্মাদ শহীদুল কাদির পাটোয়ারী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. কে এম মোহসীন, ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা প্রমুখ।
Advertisement
এমএইচএম/এমএআর/আরআইপি