ইউটিউবে খেলনা দেখিয়ে রায়ান যতটা মজা করতে পারে, তা দেখে হিংসা হবে যে কোন ছেলের। আর তার ব্যাংক ব্যালান্স দেখে ঈর্ষান্বিত হবে যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ।
Advertisement
ছয় বছরের রায়ান একজন ইউটিউব স্টার। তার কাজ ইউটিউবে নতুন নতুন খেলনার মোড়ক খোলা। কেবল এই কাজ করেই গেল বছর রায়ান আয় করেছে এক কোটি দশ লাখ ডলার। খবর বিবিসির
ইউটিউবে তার চ্যানেলটির নাম 'রায়ান টয়'স রিভিউ।' নিত্য নতুন খেলনার মোড়ক খোলার পর রায়ান সেসব নিয়ে খেলছে এরকম ভিডিওই সেখানে দেখানো হয়।
বিজনেস ম্যাগাজিন 'ফোর্বস' এর হিসেবে রায়ান হচ্ছে সবচেয়ে বেশি আয় করা ইউটিউব স্টারদের একজন। তার অবস্থান এখন আট নম্বরে।
Advertisement
২০১৫ সালে প্রথম ইউটিউবে রায়ানের ভিডিও আপলোড করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত ইউটিউবে তার ভিডিওগুলি দেখা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ কোটি বার।
জুন ২০১৬ হতে জুন, ২০১৭ পর্যন্ত রায়ানের চ্যানেলটি ইউটিউবে দেখা হয়েছে আটশো কোটি বার। কিন্তু রায়ানের ভিডিও আর তার খেলনা নিয়ে কেন মানুষের এত আগ্রহ?
ইন্টারনেটে খুবই পরিচিত মুখগুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও রায়ানের পরিচয় নিয়ে রয়েছে ব্যাপক রহস্য। তার নামের শেষাংশ কি, রায়ান কোথায় থাকে, কেউ জানে না। রায়ানের বাবা-মা মাত্র অল্প কয়েকবার গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। একটি সাক্ষাৎকারে রায়ানের মা দাবি করেছেন যে যখন তার ছেলের বয়স মাত্র তিন বছর, তখন এই ইউটিউব চ্যানেল করার আইডিয়া রায়ানই দিয়েছিল। তবে রায়ানের মা নিজেও তার নিজের পরিচয় প্রকাশ করেননি।
ইউটিউবে রায়ানের প্রথম ভিডিওটি ছিল প্লাস্টিকের ডিম ভেঙ্গে সেখান থেকে খেলনা বের করা। আশি কোটি বার এই ভিডিও দেখা হয়েছে। তার ভিডিও চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে এক কোটি মানুষ।
Advertisement
রায়ানের ভিডিওর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তার স্বতস্ফুর্ততা। নিত্য নতুন খেলনা নিয়ে সে যেভাবে খেলে, সেটা লোকে পছন্দ করে। একটি রিভিউতে বলা হচ্ছে, 'রায়ান যেভাবে তার খেলনার প্যাকেট খোলে, তখন সেটি একটি নাটকীয় পরিবেশ তৈরি করে।'
সমালোচকরা অবশ্য বলছে, রায়ানের বাবা-মা আসলে তাকে ব্যবহার করে একটি সফল ব্যবসা চালাচ্ছে। তারা এই শিশুকে 'এক্সপ্লয়েট' করছে।
কিন্তু তার মা একথা মানতে নারাজ। "আমরা তো তার স্কুল রুটিনে কোন ব্যাঘাত ঘটাচ্ছি না। আমরা ছুটির দিনেই সব ভিডিও রেকর্ড করি। যখন সে স্কুলে থাকে তখন এগুলো এডিট করা হয়।"
রায়ানের এসব ভিডিও খেলনার বিক্রি বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। রায়ানকে বর্ণনা করা হচ্ছে ইউটিউবের তরুণতম সফল তারকা হিসেবে।
এএ/এমএস